ইরাকের বাগদাদে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০, আহত ৭০০

ইরাকের প্রভাবশালী নেতা মুক্তাদা আল-সাদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণার পর থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩০ জন নিহত ও ৭০০ জন আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সাদরপন্থী বিক্ষোভকারীদের বড় ধরণের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও থমথমে বলে সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন।

গতকাল (সোমবার) ইরাকের সাদর মুভমেন্টের প্রধান মুক্তাদা আল-সাদর এক বিবৃতিতে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই বাগদাদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা গ্রিন জোনে সাদরপন্থীরা বিক্ষোভ দেখান এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে। গ্রিনজোন থেকে সরে যেতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সরকার।

ইরাকের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রাত নামতেই বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিনজোন এলাকায় মেশিনগানের গুলির শব্দ শোনা যায়। আহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১১০ জন সদস্য রয়েছেন।

গত কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.)'র মাজারের দরজাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। জিয়ারতের শহর কাজেমাইনেও জিয়ারতকারীদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে।

গতকাল অপ্রত্যাশিতভাবেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মুক্তাদা আল-সাদর। এক বিবৃতিতে জানান, তিনি কখনোই নেতৃত্ব এবং ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের দাবিদার ছিলেন না। চিরদিনের জন্য রাজনীতি থেকে ছেড়ে দিচ্ছেন। সাদর মুভমেন্টের সব দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

নয় বছর আগেও একবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন মুক্তাদা সাদর। অবশ্য পরে তিনি আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসেন।

ইরাকে প্রায় ১০ মাস আগে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এখন পর্যন্ত নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। সাদর মুভমেন্টের কিছু দাবির কারণে সরকার গঠনে বিলম্ব হচ্ছে।খবর পার্সটুডে /এনবিএস/২০২২ / একে

news