৯/১১’র সরকারি ভাষ্য মিথ্যা: মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা

গত ২১ বছর ধরে আমেরিকার যে সমস্ত মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার ঘটনা মিথ্যা, দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা, অর্থনীতিবিদ এবং গ্রন্থকার ড. পল ক্রেইগ রবার্টস একথা বলেছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান প্রশাসনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ছিলেন ড. রবার্টস। তিনি দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের অ্যাসোসিয়েট এডিটর হিসেবেও কাজ করেছেন।

গতকাল পল ক্রেইগ রবার্টস এ পত্রিকায় এক নিবন্ধে বলেন, আমেরিকার জনগণ নাইন ইলেভেনের হামলার ২১তম বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে যাতে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু এই হামলা সম্পর্কে কখনো আমেরিকার সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত হয়নি।

তিনি বলেন, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে যেসমস্ত মানুষ নিহত হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে মার্কিন সরকার অনেকটা অনাগ্রহীভাবে একটি কমিশন গঠন করেছিল যার বেশিরভাগ সদস্য রাজনীতিবিদ এবং নব্যরক্ষণশীল। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি বক্তব্য নিয়েছেন এবং তাই লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তারা যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেটি নাইন ইলেভেন কমিশন রিপোর্ট নামে পরিচিত।


তিনি বলেন, এনআইএসটি যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিতান্তই কম্পিউটারে তৈরি করা একটি প্রোগ্রামের ফল ফলাফল।

আমেরিকার নেতারা সবসময় বলে আসছেন নাইন ইলেভেনের হামলা হচ্ছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিবস। মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন আল-কায়েদার ১৯ জন সন্ত্রাসী যার মধ্যে ১৫ জন সৌদি নাগরিক ছিল তারাই ওই হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু স্বতন্ত্র বহু গবেষক আমেরিকার সরকারি এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন। তারা বলেন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মতো তৎকালীন মার্কিন সরকারের ভেতরে থাকা দূর্বৃত্তরা এই হামলার পরিকল্পনা করেছে অথবা অন্তত তারা এই হামলা পরিচালনার জন্য উৎসাহিত করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বাধানো এবং ইহুদি এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়া।

পল ক্রেইগ রবার্টস বলেন, নাইন ইলেভেনের হামলার ব্যাপারে সরকার যে বক্তব্য দিয়ে আসছে দিন দিন তাকে মিথ্যা বলে বিশ্বাস করা লোকের সংখ্যা বাড়ছে এবং এখন জরিপ ফলাফলে দেখা যায় অর্ধেক মানুষ সরকারি বক্তব্যকে মিথ্যা বলে মনে করে। রবার্টস আরো বলেন, নাইন ইলেভেনের হামলার ঘটনা মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ কাজ এবং তা করা হয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দুই দশকের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই চাপিয়ে দেয়ার ঘটনা যৌক্তিক প্রমাণের জন্য। এই হামলা থেকে তারাই লাভ তুলে নিয়েছে, এজন্য আমেরিকার সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে নিযুক্ত করা হয়।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news