ইউক্রেনের বাসভবনে মিসাইল হামলা রুশ সেনার, ‘আক্রমণ আরও বাড়বে’, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

 ইউক্রেনে (Ukraine) আরও আগ্রাসী হয়ে উঠে আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া (Russia)। ইতিমধ্যেই তাদের রকেট হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহরে একটি আবাসন। প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ মানুষকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে রুশ প্রশাসন। অন্যদিকে পশ্চিমি দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি আবার ইউক্রেনের উপরেই হামলা করার দায় চাপিয়েছেন। বলা হয়েছে, বেশ শক্তিশালী আণবিক অস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার উপরে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন।

জানা গিয়েছে, গত তিনদিনে দু’বার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেছেন রাশিয়ার (Russia Ukraine War) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। বারবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ডার্টি বম্ব ফেলার অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। অস্টিনের সঙ্গে কথা বলার সময়েও তার অন্যথা হয়নি। ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশের সঙ্গেও একই রকমের আলোচনা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। প্রসঙ্গত, ডার্টি বম্ব হল এক ধরণের বিশেষ বোমা। ব্যবহৃত আণবিক সরঞ্জাম দিয়েই তৈরি হয় এই বোমাগুলি। যথেষ্ট শক্তিশালী বোমা হিসাবেই পরিচিত এই ডার্টি বম্ব। রাশিয়ার তরফে বলা হয়েছে, ডার্টি বম্ব ছাড়াও অন্যান্য মারণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন।

তবে পুতিনের দেশের এহেন দাবি একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। শোইগুর সঙ্গে কথা বলার পরে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেকোনও পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশেই থাকবে তারা। যতদিন ধরে যুদ্ধ চলবে, ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন অটুট থাকবে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার দাবিকে একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছে এই তিন দেশ। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ডার্টি বম্ব ফেলার যে দাবি রাশিয়া তুলেছে, তা একেবারে ভিত্তিহীন। নিজেদের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি রাশিয়া, এমনটাই বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে।

রাশিয়ার এহেন মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে ইউক্রেন। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, “আসলে রাশিয়াই ডার্টি বম্ব ফেলার পরিকল্পনা করছে। সেই জন্যই আমাদের উপরে দোষ চাপাচ্ছে। আগেও বহুবার দেখা গিয়েছে, রাশিয়া নিজে যেসমস্ত হামলার পরিকল্পনা করছে তার দায় ইউক্রেনের উপরে ঠেলে দিয়েছে।” অন্যদিকে, রবিবার রুশ মিসাইল হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের একটি বহুতল আবাসন। সেখানে হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে রাশিয়ার তরফে সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান, কারণ যুদ্ধ ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news