'নাগরিকত্ব ইস্যুতে মিথ্যা ভাঁওতা দিচ্ছে বিজেপি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরাশায়ী হবে'


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, নাগরিকত্ব ইস্যুতে মিথ্যা ভাঁওতা দিচ্ছে বিজেপি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির নাম রাজনৈতিকভাবে মুছে ফেলা হবে। তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন।

বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস আজ বলেন, ‘আজকে ঠাকুরনগরের সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যদিয়ে ওদের দৈন্যদশা প্রমাণ হয়েছে। সেখানে স্থানীয় এমপি (বিজেপির) উপস্থিত ছিলেন না, সেখানকার বিধায়ক (বিজেপির) উপস্থিত  ছিলেন না। ওই দলটা গোষ্ঠী কোঁদলে জর্জরিত তা আবার প্রমাণ হল বনগাঁ মহকুমার মাটিতে।’

 তিনি বলেন,  ‘প্রত্যেক নির্বাচনের সময়ে ওরা ‘সিএএ’ প্রসঙ্গে বিভ্রান্তি ছড়ায়।  বিজেপি যে কথা বলে, সেই কাজ করে না। যেমন- বছরে ২  কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি, প্রত্যেকের একাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিথ্যা ভাঁওতায় পরিণত হয়েছে। তেমনি  সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনও (সিএএ) মিথ্যা ভাঁওতায় পরিণত হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। ওরা ফের মিথ্যা ভাঁওতা দিচ্ছে। যদি মতুয়া সম্প্রদায়ের এবং নমশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কেউ কাজ করে থাকেন তো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। তাদের আধার কার্ড আছে, ভোটার পরিচয়পত্র রয়েছে, তাদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর এবং আমার মত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা বৈধ বিধায়ক-সাংসদ। কিন্তু যারা ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছে তারা বেনাগরিক হয় কী করে?’ 

‘বাংলার বাঘিনী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০২১ সালের নির্বাচনে যেভাবে ধরাশায়ী করেছেন, তেমনি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ধরাশায়ী করব। এবং আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতবর্ষ থেকে বিজেপির নাম আমরা রাজনৈতিক ভাবে মুছে দেবো’ বলেও মন্তব্য করেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news