ভারতীয় চ্যানেল দেখানোর ‘অপরাধ’, কেবল সংস্থার দপ্তরে তল্লাশি পাক প্রশাসনের

ভারতীয় চ্যানেল দেখানো হয়, সেই অপরাধেই পাকিস্তানের একাধিক কেবল অপারেটরের উপরে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল। পাকিস্তানে (Pakistan) টিভি চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কর্মীরা নির্দিষ্ট কয়েকটি কেবল অপারেটরের দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছে। কেন ভারতীয় চ্যানেলগুলি পাকিস্তানে সম্প্রচারিত হয়, সেই অভিযোগ এনে শোকজের নোটিসও ধরিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। সাফ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে, নয়তো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে সংশ্লিষ্ট কেবল অপারেটরদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ফাওয়াদ খানের ছবির মুক্তি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তার পালটা দিতেই ভারতীয় চ্যানেলের উপর কোপ পাক প্রশাসনের।

পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “চারটি কেবল অপারেটরের দপ্তরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচারিত হচ্ছিল ওই অপারেটরদের মাধ্যমে। তাছাড়াও একাধিক ভারতীয় কন্টেন্ট দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল এই কেবল অপারেটররা।” বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, এই কেবল অপারেটরদের অফিস থেকে বেশ কিছু বেআইনি জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরেই শোকজের নোটিস ধরানো হয়েছে কেবল অপারেটরদের।

সেই সঙ্গে দেশের অন্যান্য কেবল অপারেটরদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের মিডিয়া রেগুলেটর অথরিটি। বিবৃতিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় চ্যানেলগুলি সম্প্রচার করা যাবে না। শুধুমাত্র যেসব অপারেটরদের কাছে বিশেষ অনুমতি রয়েছে, তারাই ভারতীয় চ্যানেল দেখাতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালেই পাক আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়, দেশের সমস্ত কেবল অপারেটরের অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হোক। দেশে দেখানো হবে না ভারতীয় চ্যানেল।

তবে ২০১৭ সালে লাহোর হাইকোর্ট রায় দেয়, পাক মিডিয়ার এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেওয়া হোক। কারণ দেশে ভারতীয় চ্যানেল দেখানো নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এক বছর পরেই ফের নিয়ম পালটে ফেলে পাক মিডিয়া আধিকারিকরা। ২০১৮ সাল থেকে ফের পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়ে যায় ভারতীয় চ্যানেল। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রভাব পড়েছে বিনোদন জগতের উপরে। ভারতের ছবি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাক শিল্পীদের। তারই পালটা হিসাবে দেশে ভারতীয় চ্যানেল দেখানো বন্ধ করেছে পাকিস্তান। 
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২৩/একে

news