৬০ বছরে প্রথমবার জনসংখ্যা কমেছে চিনে, মৃত্যুর হার বেশি, কীসের লক্ষণ? 

 ১৯৬০ সালে চিনে (China) জনসংখ্যা (Population) অস্বাভাবিক হারে কমেছিল। ফের চিন একই রকম পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। কমছে জন্মহার। এছাড়াও কোভিড মহামারীতে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করেছে ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকস। তাদের দাবি অনুযায়ী, ২০২২ সালে চিনের জনসংখ্যা গত ৬০ বছরে প্রথমবার এতখানি কমেছে।

চিনের বিরাট জনসংখ্যা সেদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এমনকী বিশ্ব অর্থনীতিতে (World Economy) তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই অবস্থায় ছয় দশকে প্রথমবার চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ নিচে নামায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। পরিসংখ্যান বলছে, ১৪১ কোটির চিনে গত বছর জনসংখ্যা কমেছে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার। সেখানে একই সময়ে জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। ১৯৫০ সালের পর যা সবচেয়ে কম। এছাড়া ২০২২ সালে কোভিড ও অন্য কারণে ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকসের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চিনে জন্মহার কমে ১৩ শতাংশ হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৬০ হাজার ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।

একটি পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে, গত বছর প্রতি ১০০০ হাজার জনে চিনে শিশু জন্মহার ছিল মাত্র ৬.৭৭ শতাংশ। ১৯৭৮ সালের পর যা সর্বনিম্ন। এমন অবস্থায় মধ্য বয়সি ও বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। রিপোর্টে উল্লেখ্য করা হয়েছে, জনসংখ্যার ৬২ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর মন্দ প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। চিনের অর্থনীতি ও বিশ্ব অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। জনসংখ্যার কমার ফলে কর্মক্ষম শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে শিল্পক্ষেত্রে। দেশে বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের পেনশন দিতে গিয়ে জাতীয় কোষাগারে খালি হয়ে যাচ্ছে বলেও খবর।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পূর্ব এশিয়ার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে চিনে। জনসংখ্যা কম হলেও উন্নয়ন অব্যাহত সেখানে। যদিও চিনের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভশীল বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার উপরে।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২৩/একে

news