মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ পায়তারা

ইরানের সামরিক স্থাপনায় মনুষ্যবিহীন যান ইউএভি বা ড্রোন থেকে বোমা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইঙ্গ-মার্কিন চক্র ইসরায়েল ও আজারবাইজানকে ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। ইরান এ হামলার পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে আজারবাইজানের নাখিচেভান অঞ্চলটি নিজের সাথে ইরান নিজের সংযুক্ত করেও নিতে পারে।

গত রোববার রাতে অনেকগুলো অজ্ঞাতনামা ড্রোন ইরানে হামলা চালায়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। পত্রিকাটি জানায়, ইরানের পারমানবিক ও সামরিক উচ্চাভিলাষ ঠেকানোর নতুন মার্কিন ও ইসরায়েলি উপায় হিসেবে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও হামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি এ তথ্য জানায়।

ইরানের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইস্পাহানে সামরিক স্থাপনার ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। আজিরশেহর শহরের মোটর কারখানায় আগুন ধরে যায়।
ভূমিকম্পের কারনে এ অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। কিন্তু একই সময়ের কারণে ধারনা কারা হচ্ছে যে, ভূমিকম্পের কারণে নয়, সম্ভবত ইরানের পরমানু স্থাপনার পরমানুর বিপুল বিস্কোরনে এ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। পরিকল্পিত হামলা বা নাশকতার কারনে এটি ঘটতে পারে। এর আগেও ইরানের পরমানু স্থাপনায় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে।

২০২০ সালে জুলাই ও ২০২১ সালের এপ্রিলে নাতানজে এবং ২০২১ সালের জুনে কারাজে পরমাণু স্থাপনায় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।

ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরান প্রতিশোধ নিতে নিজস্ব বিশেষ সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপারে ঝিরিনোভস্কির ভবিষ্যতবানীকে সত্য প্রতিপন্ন করতে পারে।

ইসরায়েলের উদ্দেশ্যের কথা দীর্ঘদিন যাবত শোনা যাচ্ছে এবং দেশটি বারবার তা প্রকাশ করেছে দেশটি।

তেহরানে আজারবাইজানের দূতাবাসে হামলার ঘটনার সাথে ঝিরনোভস্কির ভবিষ্যতবানী সম্পর্কিত। এ ঘটনার পর আজারবাইজান তার দূতাবাস খালি করে দিয়েছে। গত সোমবার জার্মানিও অনুরূপ পদক্ষেক গ্রহন করে। এটি একটি ওপেন সিক্রেট যে দূতাবাস খালি করা হচ্ছে যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করে।

এরপর জেরুসালেমে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরান সফর করেন। একই সময় সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস ইসরায়েল সফর করেন। একই সময় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকনও সেখানে যান।

আলআরাবিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে ব্লিনকন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহ করছে। কিন্তু তেহরান সফল হতে পারবে না।

আলআরাবিয়া জানায়, ইসরায়েল আজারবাইজানে বড় ধরণের উস্কানিমূলক তৎপরতা চালাতে পারে। আর সেজন্য ইরানকে দোষারোপ করা হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে কারণ হতে পারে।

এনবিএস/ওডে/সি

news