পোকামাকড় খাওয়াকে বৈধতা দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিষিদ্ধ কাতারে

খাদ্যাভ্যাসের তালিকায় এবারে স্থান পেল পোকামাকড়। ইউরোপিয় ইউনিয়ন খাদ্য হিসেবে এবারে পোকামাকড় খাওয়াকে বৈধতা দান করেছে। তারা এটিকে হালাল খাদ্য হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। তবে কাতার ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী এরই মধ্যে এই খাদ্যটিকে হারাম হিসেবে ঘোষণা করেছে। বৃহষ্পতিবার কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘হালাল খাদ্য প্রযুক্তি রেগুলারিটি’ বিভাগ দেশটিতে এই খাদ্যাভাসকে হারাম হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের রেগুলেশন ‘এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের ধর্মীয় মতামত প্রদানকারী গোষ্ঠী পোকামাকড় বা সেটি থেকে আহরিত প্রোটিন এবং পরিপূরক খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। কিছু দেশে খাদ্য উৎপাদনে পোকামাকড়ের ব্যবহার অনুমোদনের পরই এমন ঘোষণা আসলো কাতার সরকারের পক্ষ থেকে। তবে কোন কোন দেশ খাদ্য হিসেবে পোকাকে খাদ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে সেই বিষয়ে কছু জানায়নি দোহা। ইইউ কমিশন গত মাসে লেসার মিলওয়ার্মের লার্ভা এবং খাবারে ব্যবহারের জন্য এক ধরনের ঝি ঝি পোকার অনুমোদন দেয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন চারটি পোকাকে ‘নভেল খাদ্য’ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। তবে যেসব পণ্যে পোকা থাকবে, সেই পণ্যের গায়ে অবশ্যই তা স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইইউ বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রীন হাউজ নিসরন বাড়ায় মাংস ও অন্যান্য খাবারে বিকল্প হিসেবে এটিকে ভাবা যেতে পারে।

এদিকে ধর্মবিশারদরা বলছেন, পোকামাকড় খাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ইসলামি শরিয়া আইনে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা নেই। আর তাদের অনেকেই বলছেন, যেহেতু কুরআনে পঙ্গপাল খাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা আছে তাই এটি হালাল। কিন্তু অধিকাংশ ইসলামি শরিয়া বিশেষজ্ঞ অন্য পোকামাকড় খাওয়ার বিপক্ষে, যেহেতু সেগুলো অপরিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে।

কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে সেসব খাবারগুলোকেই শুধুমাত্র অনুমোদন দিয়ে থাকে যেগুলো পুষ্টিসমৃদ্ধ।

এনবিএস/ওডে/সি

news