রুশ বিরোধী নিষেধাজ্ঞা ‘বুমেরাং হতে পারে’, সৌদি জ্বালানিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

 ইউক্রেন আক্রমণকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ডিজেল এবং পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর পাশ্চাত্যের দেয়া নিষেধাজ্ঞার পরিণতির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলআজিজ বিন সালমান আল সৌদ। তিনি বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ভবিষ্যতে বিশ্বের জ্বালানি বাজারে মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

এর আগে জি৭ - যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডা তেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে। তাতে রাশিয়ার জ্বালানি চলে যাচ্ছে চীন ও ভারতের দিকে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতের জ্বালানি দিয়ে চাহিদা পূরণ করে মস্কোর উপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে। সৌদি জ্বালানিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি এই প্রেক্ষাপটেই।

 পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রোববার একটি শিল্প সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্বালানিমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের চাহিদা বেড়ে গেলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বুমেরাং হতে পারে। সৌদি মন্ত্রী বলেন, ‘এসব নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ ও সীমাবদ্ধতা একটি জায়গায় এসে জটিলতা তৈরি করতে পারে। আর তাহলো প্রয়োজনের সময় সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আমার আশঙ্কার জায়গাটি সেখানে।’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার আগ পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো ছিল রুশ জ্বালানির প্রধান রপ্তানি বাজার। কিন্তু ওই অভিযান শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

রাশিয়া ও সৌদি আরব তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাসের সক্রিয় সদস্য। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর দেশটি এশিয়ায় সৌদি আরবের নিয়মিত গ্রাহকদের কাছে কম-মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ শুরু করেছে। অন্যদিকে সৌদি আরব ইউরোপে রাশিয়ার সাবেক বাজারের দিকে মনোনিবেশ করেছে।

২০২২ সালের জ্বালানী বাজারের এই পরিবর্তন থেকে কী শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌদি জ্বালানীমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলআজিজ বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এই যে, বিশ্ব ওপেক প্লাসের ওপর নির্ভর করতে পারে।

এনবিএস/ওডে/সি

news