নবজাতকের দেহ আঁকড়ে বুকফাটা কান্না, মৃত্যুপুরী তুরস্কে শুধুই হাহাকার
ছোট্ট দেহটা আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা। ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে তার পরিবারকে। কেড়ে নিয়েছে কিছুদিন আগেই জন্ম নেওয়া নবজাতককে। মাথা গোঁজার আশ্রয়টাও আজ নেই। তুরস্ক এবং সিরিয়াতে ভূমিকম্পের জেরে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, তুরস্কে কমপক্ষে ৬০০০টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রশাসন। কম্পন যে একেবারেই থেমে গেছে তা নয়। এর থেকেও আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন ভূবিজ্ঞানীরা।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে এবং প্রিয়জনদের হন্যে হয়ে খোঁজার তাগিদ চোখে পড়ছে। কিছু কিছু পরিবারে শোকপালন করার মতো সদস্যও বেঁচে নেই। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মরদেহ।
চারিদিকে শুধুই স্বজন হারানোর কান্না। এক প্রলয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এক লহমায় ছারখার করে দিয়েছে সব। রক্তাক্ত, নিস্পন্দ কাঠামোগুলো আজ ধুলোর আচ্ছাদনে ঢাকা। কেউ পলক ফেলছেন, কেউ নিস্পন্দ। কেউ আরও একবার সর্বস্ব খুইয়ে বসে রয়েছেন রাস্তায়।
এনবিএস/ওডে/সি


