বেঁচে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি: রুশদী
দুষ্কৃতিকারীর হামলায় গুরুতরভাবে আহত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সালমান রুশদি। বুকার পুরস্কার বিজয়ী ঔপন্যাসিক বলেন, বেঁচে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। তারা আমার উপর যেভাবে আক্রমন করেছিল, তাতে আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। তবে আমি খুশি হয়েছি যে তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
সালমান রুশদি বলেন, যারা আমাকে সমর্থন করেছেন, বিশেষ করে আমার ছেলে জাফর এবং মিলনসহ পুরো পরিবারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে আমি আমার জীবন ফিরে পেয়েছি। আমি এখন উঠতে পারি এবং ঘুরে বেড়াতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আমার বাইরের ক্ষতগুলি প্রায় সেরে উঠছে। হাতের ক্ষত ঠিক করার আমাকে নিয়মিত হ্যান্ড থেরাপির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবো। আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তার তুলনায় আমি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছি।
২০২২ সালের ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মঞ্চে উঠে এক ব্যাক্তি তাকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত ও ঘুষি মেরে হত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গোটা প্রেক্ষাগৃহ খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই হামলাকারীকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, মঞ্চে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করানো হচ্ছিল রুশদিকে। সেই সময় তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই দুষ্কৃতী। রুশদির ঘাড়ে ক্রমাগত অন্তত ১০-১৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর এক চোখে দৃষ্টি হারিয়েছেন এই লেখক।
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার কারণে সালমান রুশদিকে হত্যা করার ফতোয়া দিয়েছিলেন ইরানের প্রাক্তন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী। এই ঘটনার কয়েক বছর পরই তার উপর হামলা চালানো হয়। রুশদি বলেন, আমি কখনোই ভাবিনি যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলে এতো মানুষ আমার হয়ে প্রতিবাদ করবে।
এনবিএস/ওডে/সি


