তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫০০০ ছাড়াল

তুরস্ক ও প্রতিবেশি সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতে সংখ্য ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে তুরস্কে অন্তত ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জন নিহত হয়েছে। রয়টার্স, আল-জাজিরা, বিবিসি, জাপান টাইমস

গত সোমবার দেশ দু’টিতে সংঘটিত ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচাইতে ভয়াবহ ভূমিকম্প। হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এতে। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার বহুতল ভবন। ধ্বংসস্তুপের নীচে আটক পড়ে আছে অসংখ্য মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারের জন্য এখনও প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে চার দিন পার হয়ে যাবার কারণে আর কাউকে হয়ত জীবিত উদ্ধার করা হয়ত সম্ভব হবে না বলে অনেকে আশংকা করছেন।

২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল ৮৮০০ জন। তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে হীম শীতল ঠান্ডা উপেক্ষা করে উদ্ধার কর্মীরা তাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখার প্রেক্ষাপটে বেড়ে ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তারা আরও জীবিত লোকদের উদ্ধার করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্ত চারদিন পার হয়ে যাওয়ায় নতুন করে জীবিতদের ্উদ্ধারের ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাবুসওগলু বলেছেন, তার দেশ সিরিয়ার অভ্যন্তরে ভূমিকম্প উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির কারণে তা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, সারা বিশ্ব থেকে তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার দল ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছুলেও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে খুবই কম সহায়তা যাচ্ছে।

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত ক্রসিংয়ে স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার উবায়দা রামোস বলেন, “আমি জরুরি ভিত্তিতে আমাদের কাছে সাহায্য পাঠানোর জন্য আরব দেশগুলো, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার ৬০ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপের নীচে এখনো অসংখ্য মানুষ চাপা পড়ে আছে।

ডাক্তার উবায়দা রামোস বলেন,এখ পর্যন্ত একটি আন্তর্জতিক ত্রাণবহর এখনও সীমান্ত পার হয়ে তাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেনি।

এনবিএস/ওডে/সি

news