ভূমিকম্পের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সমস্যার কথা স্বীকার করলেন এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বুধবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গত সোমবার দুই দফা ভয়াবহ ভূমিকম্পর ঘটনায় তার সরকারের নেয়া ব্যবস্থাকে সমর্থন করে বলেন যে, এমন ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্ততি গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সমালোচকরা দাবি করছেন যে, উদ্ধার ও ত্রাণকাজে জরুরি সেবাসমূহের পদক্ষেপ ছিল ধীরগতি সম্পন্ন এবং সরকারের প্রস্ততিও ভাল ছিল না।

এরদোগান স্বীকার করেন যে, সরকারকে কিছু সমস্যা মুখোমুখী হতে হয়েছিল তবে এখন পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। তুরস্কের বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিকডারওগলু তার সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি এ জন্য দায়ী, আর তিনি হলেন এরদোগান।’

প্রেসিডেন্ট এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, এ বিপর্যয়ের ঘটনার পর ঐক্যের প্রয়োজন। ‘এটি সে ধরণের পরিস্থিতি।’ হাতয়এ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এরদোগান বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নেতিবাচক প্রচারণা আমি সহ্য করবো না।

ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে থাকা লোকদের উদ্ধার করার আশায় হাজার হাজার জীবিত লোকজন হীমশীতল আবহাওয়ার মধ্যে অতিবাহিত করে বুধবার। বিশ্ব সস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, হীমশীতল তাপমাত্রার কারণে অনেকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

প্রতিবেশি সিরিয়ায় ত্রাণ তৎপরতা চালানো জটিল হয়ে পড়েছে। অনেক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ এবং অবকাঠামোগুলো ধ্বংস হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যকার সীমান্ত ক্রসিং বাব আল হাওয়া ভূমিকম্পের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। সেখানকার রাস্তাগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন যে, শিগগিরই রাস্তা চলাচলের উপযোগী হবে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মেভলুত কাবুসওগলু নিশ্চিত করেন যে, দেশটিতে ত্রাণ  পাঠানোর জন্য আরও দুটি বর্ডারক্রসিং খোলা হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news