ইভিন কারাগার থেকে ফ্রেঞ্চ একডেমিশিয়ান ও এক চিকিৎসকের মুক্তিলাভ  

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ২০১৯ সালে দেশটিতে ভ্রমণের সময় ফারিবা আদেলকাহকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে গৃহবন্দী রাখলেও পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে ৫ বছরের সাজা দেয়। তিনি যে কারাগারে বন্দী ছিলেন সেটি বন্দীদের কাছে মূলত খুব ভয়ংকর হিসেবে পরিচিত। তবে কোন শর্তে তিনি মুক্তিলাভ করেছেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে সংশয় জানিয়েছে ফ্রান্স সরকার।

সম্প্রতি গত কয়েক মাস ধরেই তার বন্দীকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এএফপি জানায়, মুক্তি পেলেও তিনি এখনই ফ্রান্সে ফিরে আসবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

শুক্রবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যথেরিনা কলোননা তার মুক্তিলাভকে স্বাগত জানিয়ে কারালাভকে অন্যায় বলে অভিহিত করেন। একইসঙ্গে ফারিবার পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি যদি চান তবে তাকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও ইরান করবে বলে আশা করে ফ্রান্স। ফারিবা প্যারিসের বিখ্যাত পো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

এদিকে, শুক্রবার ইভিন কারাগার থেকে দেশটির চিকিৎসক ফারহাদ মিয়াসামিকেও মুক্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সপ্তাহ খানেক আগে তার বন্দীদশার সময় জীর্ণশীর্ণ শরীরের ছবি প্রকাশ হয়। সিএনএন

২০১৮ সালে নারী অধিকারের পক্ষে হিজাব আইন বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় কারালাভ করেন। জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি ও সরকাররে বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে তার ভূমিকা ছিল বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

সিএনএনের কাছে লেখা এক চিঠিতে তার আইনজীবী মোগিমি জানান, বারবার জেল পরিবর্তন ও নানা অনিয়মে তার ওজন  ৫২কিলো (১১৫ পাউন্ড) কমে গেছে। এসময় মিয়াসামি অনশনের ডাক দেন সকল বন্দীদের মুক্তিলাভ ইস্যুতে। তবে সিএনএন চিঠির গ্রহন যোগ্যতার বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি।

অপরদিকে, রোববার থেকে সম্প্রতি সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য আটককৃত বন্দীদের একের পর এক মুক্তি দেওয়া শুরু করেছেন আয়তুল্লাহ খোমেনী সরকার।

এনবিএস/ওডে/সি

news