নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইরানের ইয়াযদ এয়ারলাইন্স চলবে আন্তর্জাতিক রুটেও

 ইরানের বেসামরিক বিমান খাতের ওপর আমেরিকার অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেহরান এই পদক্ষেপ নিল। নতুন চালু করা এয়ারলাইন্সের নাম দেয়া হয়েছে ইয়াযদ এয়ার এবং শুক্রবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ইরানের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ঐতিহাসিক শহর ইয়াযদ থেকেই মূলত এই এয়ারলাইন্সটি পরিচালিত হবে।

উদ্বোধনী দিনে রাজধানী তেহরান থেকে ইয়াযদ এয়ারের একটি ফ্লাইট ইয়াযদ শহরের শহীদ সাদুকি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এয়ারলাইন্সটি আন্তর্জাতিক গন্তব্য হিসেবে ইরাকের নাজাফ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, তুরস্কের ইস্তাম্বুল এবং ভারতের মুম্বাই শহরে যাতায়াত করবে। এক্ষেত্রে দুটি এয়ারবাস এ-৩১০ বিমান ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে দুটি ব্রিটিশ নির্মিত বিমান ব্যবহার করা হবে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এই এয়ারলাইন্স আনার জন্য এ পর্যন্ত ২ কোটি ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছেন। প্রাথমিকভাবে ইয়াযদ এয়ারলাইন্স ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন্স মহান এয়ারের ওপর নির্ভর করবে এবং প্রথম দুই মাস মহান এয়ার সব ধরনের সার্ভিস দেবে। এরপর ইয়াযদ এয়ার ৭০ জন কর্মী নিয়োগের পর নিজস্ব অফিসে তারা স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইরানের পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রেজা দাশতি বলেন, ইয়াযদ এয়ারের পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি হবে ইরানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্সের একটি।

ইরানের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এ কারণে তেহরান নতুন কোনো বিমান কিনতে পারে না এবং যেসমস্ত বিমান রয়েছে সেগুলোর মেরামত বা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও সংগ্রহ করতে পারে না।

এনবিএস/ওডে/সি

news