বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) দাবি করেছে, মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে 'মানবিক করিডোর' চালু করা বাংলাদেশের ভৌগোলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য চরম ঝুঁকি হতে পারে। দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আত্মঘাতী হতে পারে।
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি এবং মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা জানি, এমন একটি করিডোর বাস্তবায়ন বিশ্বের কোথাও সফল হয়নি। যেমন আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, বসনিয়া, কঙ্গো বা সিরিয়া—সব জায়গাতেই এই ধরনের উদ্যোগ নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।" তাদের মতে, এমন একটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলবে, যা দেশের স্বাধীনতার প্রতি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
তারা আরও বলেন, "রাখাইনে মানবিক করিডোর স্থাপন করলে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান বিপদে পড়বে, কারণ এখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে পারে। তাছাড়া, এমন একটি পদক্ষেপ বাংলাদেশকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমস্যা ও রাজনৈতিক জটিলতায় ফেলবে, যার ফলে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও বিপদে পড়বে।"
বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা আরও জানিয়েছেন, "রাখাইনে কোনো স্বীকৃত প্রশাসন নেই, ফলে সেখানে ত্রাণ পাঠানোর পথও অস্বচ্ছ। জাতিসংঘ কিভাবে নিশ্চিত করবে যে, ত্রাণ শুধু বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।" তারা এও বলেন, "এই অঞ্চলটি মাদক, অস্ত্র ও নারী ও শিশু পাচারের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বাংলাদেশে প্রবেশ করলে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।"
তাদের মতে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ফলে যে নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আর কোনো নতুন ঝুঁকি গ্রহণ করা উচিত নয়। বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সংকট ইতোমধ্যে একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং নতুন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
"আমরা আরেকটা গাজা পরিণত হতে চাই না," যোগ করেছেন তারা। সুতরাং, এই বিষয়ে জাতিসংঘসহ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
#নিরাপত্তাএবংস্বাধীনতা #রোহিঙ্গাসংকট #মানবিককরিডোর #বাংলাদেশ #রাজনৈতিকঝুঁকি


