দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে। রোববার (১৮ মে) দুদক সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব পরীক্ষা করবে এবং তার আয়কর নথির সঙ্গে সম্পদের অমিল খুঁজে দেখবে। সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এর আগে, পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া, বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগে আরও একটি মামলা প্রস্তুত করছে দুদক।

দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার, সরকারি প্রকল্পের তহবিল লুটপাট এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের একাধিক অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। এই অনুসন্ধানের ফলাফলের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই তদন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দুদক দাবি করছে, এটি একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত প্রক্রিয়া।

এই অনুসন্ধানের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো নোটিশ জারি করা হয়নি।

news