বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। লন্ডনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠকের পর এ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। যদিও তার ফেরার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো অস্পষ্ট, তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনের আগেই তিনি বাংলাদেশে আসবেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তারেক রহমান বেশিরভাগ মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন, এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার দণ্ডও খারিজ হয়েছে। সরকারও নিশ্চিত করেছে, তার ফেরার পথে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাসে থাকার পর তিনি কখন ফিরবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

দলের ঘনিষ্ঠরা জানান, নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান দেশে ফিরে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তার উপদেষ্টা মাহদী আমিনের মতে, "নির্বাচন সম্ভবত ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হবে, তাই তিনি অবশ্যই তার আগে ফিরবেন।" সম্প্রতি লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকেও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তবে, তারেক রহমানের ফেরাকে ঘিরে নিরাপত্তা ইস্যুও গুরুত্বপূর্ণ। তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, "একজন সিনিয়র নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারকেও একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।" রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, তারেকের ফেরা নির্বাচনী কৌশলের অংশ হতে পারে, যেখানে তার প্রত্যাবর্তনই দলের জন্য বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে, ঢাকায় তার বাসস্থান প্রস্তুত এবং পুলিশি প্রহরা থাকলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং তারেক রহমান। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "তিনি যখন মনে করবেন, তখনই ফিরবেন।" এখন শুধু অপেক্ষা, কবে এই প্রত্যাবর্তন ঘটবে এবং তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনে।

news