সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া হিন্দুদের বাড়ি, মন্দির, দোকানপাটে যে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ন্যাপ এ ধরণের সাম্প্রদায়িক হামলার তিব্র নিন্দা জানায়।

তারা বলেন, নড়াইলের লোহাগড়ায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু নড়াইলেই না এর পূর্বে রামু, নাসিরনগর, রংপুর, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে দেখা যায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিক্ষকদের উপর ও আঘাত করা হচ্ছে কিন্তু এর কোন বিচার হয়না।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, নির্বাচনী মৌসুম ঘনালেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপসনালয় বসতবাড়ী-সহায় সম্পত্তি আক্রান্ত হয়। পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই, রাজনৈতিক পক্ষগুলো এসব ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতা বলে প্রচার করে মাঠ গরম রাখে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কেই চিহ্নিত করতে হবে, কারা নেপথ্য শক্তি।

তারা বলেন, বাংলাদেশের সকলকেই মনে রাখতে হবে সংখ্যালঘূ বলে কোন জাত নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশী বাঙালি। প্রতিটি বাংলাদেশীকে সমান নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সকল রাজনৈতিক দল, গোষ্টি সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাতে যদি এসব অপকর্ম কিছুটা রোধ করা যায়।

বারবার এধরনের ঘটনা ঘটার জন্য সরকার নিজের ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না মন্তব্য করে নেতৃদ্বয় বলেন, অবিলম্বে নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া গ্রামের সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব চালানোর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। একইসাথে ঘটনাকে নোংরা রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার না করে এ ঘটনার পেছনে যারা কুশীলব রয়েছে, যারা এর পেছনে ইন্ধন দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে তাদেরকেও বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া, সরকারকে মনে রাখতে হবে ভবিষ্যতে কখনওই যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করাও সরকারেরই দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব।

news