চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ‘গুরুতর অসুবিধা’ হচ্ছে, রাষ্ট্রদূতের সতর্কতা

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জি ফেং বলেছেন যে, উভয় দেশের সরকারই ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা তাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে সঠিক খাতে ফিরিয়ে আনতে চায়। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক যখন ‘গুরুতর অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জের’ মুখে তখন তার দায়িত্ব ও লক্ষ্য হচ্ছে এ সম্পর্ককে উন্নত করা।

নিউ ইয়র্ক সিটিতে পৌঁছে জি ফেং বলেন. আশা করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে  আলোচনা বৃদ্ধি ও সহযোগিতাকে প্রসারিত করে আমাদের সম্পর্ক সঠিক পথে ফিরে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ানে সফরের পরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং এই বছরের শুরুতে একটি চীনা নজরদারি বেলুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেইজিং সফর স্থগিত করেন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ভিয়েনায় শীর্ষ চীনা কর্মকর্তা ওয়াং ইয়ের সাথে দেখা করার পর চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী সপ্তাহগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ মার্কিন বাণিজ্য ও বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহান্তে জাপানে বলেন, চীনের সঙ্গে তার দেশের আলোচনার মধ্যে দিয়ে কঠিন সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সর্বশেষ চীনা রাষ্ট্রদূত জি ফেং গত এক দশক আগে কূটনীতিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও এখন তিনি বলেন, বিশ^ ও যুক্তরাষ্ট্র অনেক বদলে গেছে। তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা বলছেন জি ফেং একজন পেশাদার ও খুব দক্ষ। আমরা তাকে অনেক, বহু বছর ধরে চিনি। আমি মনে করি তিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কূটনীতি হিসেবে কাজ করছেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news