এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ম্যাচে আলো ছড়ালেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মিসবাহ-উল-হক, শোয়েব মালিক ও উমর গুল।

বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ মাত্র পাঁচ রান দিয়ে নিলেন দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। প্রথমে চারিথ আসালঙ্কা রান আউট হন, এরপর ক্যাচ তুলে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। ওভারের শেষ বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকেও বিদায় দেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারেই ম্যাচ ঘুরে যায় বাংলাদেশের পক্ষে।

শেষ ওভারে তাসকিন দিলেও শ্রীলঙ্কা ১৬৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি। যদিও শানাকা ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন, কিন্তু দলের জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য সহজেই অতিক্রম করে ফেলে টাইগাররা।

মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে উমর গুল বলেন,
“আলাদা কন্ডিশনে খেলেও মুস্তাফিজ সব জায়গায় সেরাটা দিয়েছে। তার হার্ড লেংথ, এঙ্গেল করা ডেলিভারি ব্যাটারদের বিপাকে ফেলেছে। দুই দলের পেসারদের মধ্যে মুস্তাফিজ আলাদা ছিল।”

শোয়েব মালিকও প্রশংসায় ভাসালেন ফিজকে—
“তার আসল শক্তি হলো নিজের স্কিলের ওপর ভরসা। বছরের পর বছর সে স্কিল磨িয়েছে। তার স্লোয়ার দুর্দান্ত, হার্ড লেংথেও অসাধারণ। অ্যাকশন আনঅর্থোডক্স হওয়ায় সে সব কন্ডিশনে কার্যকর।”

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েও ঝড় তোলেন দুজন তরুণ। সাইফ হাসান ৪৫ বলে ৬১ রান, আর তাওহীদ হৃদয় ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন। এই জুটিতেই সহজ হয়ে যায় রানের সমীকরণ।

হৃদয়ের ইনিংস দেখে মুগ্ধ শোয়েব মালিক বলেন,
“ছোট বাউন্ডারির দিকে শুধু মারেনি, বরং ফাঁকা জায়গায় শট খেলেছে। এক্সট্রা কাভার বা ব্যাকফুট পয়েন্টের দিকে স্মার্ট শট খেলেছে। রান তাড়ার সময় উইকেটে শান্ত থাকা বড় ব্যাপার, যা হৃদয় দেখিয়েছে।”

অন্যদিকে মিসবাহ উল হক বলেন,
“বাংলাদেশের ব্যাটাররা অসাধারণ কম্পোজড ক্রিকেট খেলেছে। রানরেট কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। এত বড় মঞ্চে এভাবে রান তাড়া করে জেতা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

এই জয়ে বাংলাদেশ শুধু সুপার ফোরে অবস্থান মজবুত করল না, তরুণদের আত্মবিশ্বাসও অনেকগুণ বাড়িয়ে নিল।

 

news