বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে তৈরি হয়েছে বড়সড় বিতর্কে। সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে আপত্তিপত্র জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি এখনো সক্রিয় ক্রিকেটার, তাই বোর্ড কর্মকর্তা হতে পারেন না। আবার তামিম যেই ওল্ডডিওএইচএস ক্লাবের হয়ে কাউন্সিলরশিপ জমা দিয়েছেন, তার সাথেও নাকি কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অভিযোগের নেপথ্যে সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহের নাম থাকলেও তিনি বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, তার নামে কেউ এই চিঠি দিয়েছে। এতে গুঞ্জন আরও বেড়েছে—তামিমের বিপক্ষে আসলেই কে আপত্তি তুলছেন?
বিসিবির নির্বাচনী তপসিল অনুযায়ী ২৫ সেপ্টেম্বর ছিল আপত্তিগুলোর শুনানি। দুপুরে তামিম নিজেই সব কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন নির্বাচন কমিশনের সামনে। কথা বলেন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে, পরে সংবাদমাধ্যমের সাথেও।
তামিম সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন—তিনি চান অবাধ, সুষ্ঠু এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন। কোনো নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, “দয়া করে নোংরামি করবেন না। ক্রিকেটের সাথে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আবেগ জড়িত। সেই আবেগকে খেলাধুলার বাইরে টেনে নোংরা করবেন না।”
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তামিম বলেন, “যিনি আমার নামে অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজেই বলছেন আমি কোনো কমপ্লেইন করিনি। আসলে এটা কে লিখেছেন, সেটাই প্রশ্ন।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি ক্রিকেট সংগঠক—এটা প্রমাণিত। আমি তিনটি টিমের মালিক, দুটি টিমের কমিটিতে আছি। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।”
অবসরের প্রসঙ্গেও খোলামেলা অবস্থান নেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। তার ভাষায়, “গঠনতন্ত্রে কোথাও লেখা নেই যে, অফিসিয়ালি অবসরের ঘোষণা দিতে হবে। যদি তাই হতো, তবে বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল কিংবা সম্প্রতি খেলা শেষ করে আসা মোহাম্মদ আশরাফুলের কাউন্সিলরশিপও বৈধ হতো না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি গুলশান ক্লাবের কমিটিতে আছি। আবার চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে টিম মালিকানা আছে। শতদলের সাথেও বহু বছর ধরে যুক্ত আছি। তারপরও আমাকে এসব প্রমাণ করতে হচ্ছে, এটা লজ্জাজনক।”
শেষে আবারো একথাই বলেন তামিম—“নির্বাচন হেরে গেলে আমার কিছু যায় আসে না। কে প্রেসিডেন্ট হলো, না হলো—এটাও আমার বিষয় না। কিন্তু দয়া করে শুধুই জেতার জন্য বা ইগো মেটানোর জন্য নোংরামি করবেন না। ক্রিকেটে কোটি মানুষের আবেগ জড়িত, সেই আবেগ নিয়ে খেলা করবেন না।”


