পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগে খেলার সব অনুমোদন (এনওসি) স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সুমায়ের আহমদ সৈয়দ খেলোয়াড় ও তাঁদের প্রতিনিধিদের লিখিতভাবে এই সিদ্ধান্ত জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে, বিদেশি লিগ ও অন্যান্য দেশের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের প্রদত্ত সব এনওসি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হলো।”

বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিতাদেশের কারণ জানায়নি। তবে এটি আসে দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের পর।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধান প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা ‘কায়েদ-ই-আজম ট্রফি’ আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হবে। এটি আগে ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল।

স্থগিতাদেশ কতদিন চলবে বা পরে ছাড় দেয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহীন আফ্রিদি। তারা প্রত্যেকেই ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল-১৫)’ খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।

নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানসহ ১৮ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ‘আইএলটি২০’ নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন। নিলাম ১ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে।

বিগ ব্যাশ লিগের ১৫তম আসরের ফিক্সচার ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৪টি ম্যাচ হবে। উদ্বোধনী ম্যাচে পার্থ স্কর্চার্স ও সিডনি সিক্সার্স মুখোমুখি হবে। পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার বাবর আজম প্রথমবারের মতো সিডনি সিক্সার্সের হয়ে খেলবেন, যা এখন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।

পেসার শাহীন আফ্রিদি ব্রিসবেন হিট প্লাটিনাম পিকে দলে, উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান মেলবোর্ন রেনিগেডসে, আর পেসার হারিস রউফ মেলবোর্ন স্টারসে। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অলরাউন্ডার হাসান খান আবারও রেনিগেডসে খেলবেন। টি-টোয়েন্টি দলের ভাইস-ক্যাপ্টেন লেগস্পিনার শাদাব খানের খেলা হবে সিডনি থান্ডারে, আর পেসার হাসান আলিকে নিয়েছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।

এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশগ্রহণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে চলেছে।

 

news