১০৯ রানের জমজমাট ওপেনিং জুটি তখন অনেকটা দূরের স্মৃতি। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেনের জুটিতে ৪ উইকেটের জয় নিয়েই সিরিজ শুরু করল টাইগাররা।

এই ম্যাচে ব্যাটিং ধসের অংশ ছিলেন অধিনায়ক জাকের আলীও। তিনিও ফিরেছিলেন দ্রুতই। খেলা শেষে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মজার ছলেই জবাব দিলেন,
“আমি ড্রেসিংরুমে আরাম করে বসেছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। ছেলেদের চেষ্টায় আমি খুশি।”

তবে হাস্যরসের আড়ালেও জাকের স্বীকার করেছেন, এক অঙ্কের ব্যবধানে অর্ধেক উইকেট হারানো মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। উন্নতির জায়গা এখনও অনেক বাকি, সেটা তিনি নিজেই মেনে নিয়েছেন। তার ভাষায়,
“আমরা দারুণ শুরু করেছিলাম। হঠাৎ ধস নামাটা দুশ্চিন্তার। তবে ক্রিকেট আসলে এমনই। ওরাও চাপ সৃষ্টি করেছিল। জয়-পরাজয় খেলাটার অংশ। ব্যাটিং আর বোলিং—দুই ক্ষেত্রেই উন্নতির সুযোগ আছে।”

শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও ঘাটতির কথা তুলে ধরেন অধিনায়ক। আফগানিস্তান একসময় ৪০ রানে ৪ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়ে যায় ১৫১ রানে। জাকের মনে করেন, এ জায়গায় বাংলাদেশকে আরও ধারাবাহিক হতে হবে।
“আমাদের বোলাররা সাধারণত ভালো করে, এশিয়া কাপেও করেছে। তবে আজ শেষ দিকে কিছু বাড়তি রান দিয়েছি। এটাও উন্নতির জায়গা।”

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতা মানেই সিরিজ জয়ের পথে বড় পদক্ষেপ। তাই এখন টাইগারদের চোখ সিরিজ ট্রফিতে। জাকের বলেন,
“আজকের জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আগামী ম্যাচেই আমরা সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে নামব।”

 

news