এক ম্যাচ হাতে রেখে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের টানা দুই ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেরই গেম চেঞ্জার ছিলেন নুরুল হাসান সোহান, তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নিলো টাইগাররা। এই দিন সিরিজ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪৮ রানের, যা অর্জন করেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বর্তমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লক্ষ্যটা বড় নয়, কিন্তু দলটা বাংলাদেশ হওয়ায় সব সময় শঙ্কার থাকে। তবে সোহানের ব্যাটিংয়ের কারণে সেই শঙ্কা সত্যি হতে দেননি টাইগাররা। এক ম্যাচ হাতে রেখে জাকের আলী অনিকের দল সিরিজ জিতে নিয়েছে।
আগে ব্যাট করে ১৪৭ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে এটি প্রথমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
শারজাহতে প্রথম ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে জিতেছিল বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আফগানিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান জাকের।
তবে আফগান ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল ও ইবরাহিম জাদরান শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তাদের ৭.৫ ওভারে ৫৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন, যিনি আতালকে ১৯ বলে ২৩ রানে আউট করেন।
ইবরাহিম জাদরান ৩৭ বলে করেছেন ৩৮ রান। তিনে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজ খেলেছেন ২২ বলে ৩০ রান। ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল ও দারউশ রাসুলিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে আফগানিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ দিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং মোহাম্মদ নবী। আজমতউল্লাহ ১৭ বলে অপরাজিত ১৯ রান করেন, নবী ১২ বলে অপরাজিত ২০ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। ১ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম, ৪ ওভারে ১৩ রান খরচ করে।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন এর। দুজনেই ফিরেছেন মাত্র ২ রান করে। তিনে নামা সাইফ হাসান ১৪ বলে ১৮ রান করেছেন।
দলের অবস্থা বিপদজনক হলে জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৬৬ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন। জাকের ৩৩ ও শামীম ৩২ রান করে আউট হলেও, নুরুল হাসান সোহান শেষ পর্যন্ত ২১ বলে অপরাজিত ৩১ রান করে জয় নিশ্চিত করেন।
আফগানিস্তানের হয়ে ওমরজাই ৩.১ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। তবুও জয় লাভ করতে পারেনি আফগানিস্তান।


