ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ প্রেজেন্টেশন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতল সিরিজ। পেসারদের ধারাবাহিক বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে দেয়নি তারা। তবে লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চাপ সামলাতে হয়েছে। কিন্তু অধিনায়ক মিচেল মার্শের অবিচল সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছে ৩ উইকেটের জয় এবং ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়।
শনিবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে নিউ জিল্যান্ড। জবাবে অস্ট্রেলিয়া দুই ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্য পূরণ করে।
৫২ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৩ রান অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মার্শ। প্রথম ম্যাচে ৮৫ রানের জয়ের ইনিংস খেলে সিরিজ সেরাও হয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর সিরিজ বাঁচাতে নামা কিউইদের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই ডেভন কনওয়ে (০) জশ হ্যাজেলউডের শিকার হন। পাওয়ারপ্লেতে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টিম রবিনসন (১৩) ও মার্ক চ্যাপম্যান (৪) আউট হয়ে স্বাগতিকদের চাপ বাড়ায়। ডেরিল মিচেলও মাত্র ৯ রানে ফেরেন।
ওপেনার টিম সাইফার্ট একপ্রান্ত ধরে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তবে ৪৮ রানের ইনিংস শেষে ৯৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। এরপর অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল ও জিমি নিশামের জুটি স্বাগতিকদের সংগ্রহকে কিছুটা সহায়তা করে। শেষ চার ওভারে অজিরা ২২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে দেননি।
বোলিংয়ে শন অ্যাবট ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন। হ্যাজেলউড ও জেভিয়ার বার্টলেট দুটি করে উইকেট পান।
লক্ষ্য তাড়ায় মার্শ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে পাঁচজনই ফেরেন এক অঙ্কের ঘরে। ৯৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় অজি দল। তবে লোয়ার অর্ডারদের সঙ্গে মার্শ দলের জন্য এনে দেন জয়। ৫০ বলে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এছাড়া সাত নম্বরে মিচেল ওয়েন (১৪) ও নয় নম্বরে অ্যাবট (১৩)* দুই অঙ্কের দেখা পান।


