টি-২০তে নেপালের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার টেস্টেও বিপর্যয়ে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারত অধিনায়কত্বে খেলে দিশাহারা হয়ে যায় সফরকারীরা। মাত্র আড়াই দিনেই খতম হয়ে যায় পাঁচ দিনের টেস্ট।

শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪৪৮ রান। শনিবার তৃতীয় দিনে ভারতের ব্যাটিং হয়নি। ইনিংস ঘোষণা দিয়ে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।

২৮৬ রানের পিছিয়ে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসেও ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজের তোপে মাত্র ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১৬২ রান।

স্যার গারফিল্ড সোবার্স, ব্রায়ান লারা, ভিভ রিচার্ডসদের নাম মনে করালে মনে হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন টেস্ট ক্রিকেট ভুলে গেছে। সর্বশেষ ১৫ ইনিংসের মধ্যে ১৩ বার তারা দুইশোর নিচে অলআউট হয়েছে। বাকি দুই ইনিংসে কেবল ২০০-এর বেশি রান করেছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়েছিল।

ভারত সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খারাপ ফর্ম দেখা গেছে—শেষ পাঁচ টেস্টের মধ্যে চারটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার। একটিতে হেরেছে ১০ উইকেটে। কোর্টনি ওয়ালশ, কার্টলি অ্যামব্রোস, ম্যালকম মার্শালদের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমান দলের বোলিং আক্রমণ তুলনা করলে, তা অসংলগ্ন ও ভোঁতা মনে হয়।

দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে চারজনই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে ব্যর্থ। সর্বোচ্চ রান এসেছে তিন নম্বরে ব্যাটিং করা অলিক আথানাজের ৩৮ রান। শেষ দুই ব্যাটার জেডন সিলস ২২ ও ইয়োহান লেইন ১৪ রান করে ইনিংস শেষ করেন।

ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি বোলিংয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভুগিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা, শিকার করেছেন ৪ উইকেট। ১০৪ রান করে ম্যাচসেরা পুরস্কারও অর্জন করেছেন এই অলরাউন্ডার।

প্রথম ইনিংসে ভারতের জন্য রান করেছেন লোকেশ রাহুল (১০০), ধ্রুব জুরেল (১২৫) এবং জাদেজা (১০৪) — মিলিয়ে ৫ উইকেটে ৪৪৮ রান। এবার দেখার বিষয় পরবর্তী টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 

news