ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে। বর্তমানে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে তারা অষ্টম স্থানে আছে, যার মানে ২০২৭ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে হবে তাদের। তাদের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতার প্রধান কারণ হলো টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিকর ফর্ম।

নিউজিল্যান্ড সফর ইংল্যান্ডের জন্য খুবই ভুলে যাওয়ার মতো। টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পর, নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক ওয়ানডেতে দলের টপ-অর্ডারের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ। প্রথম ওয়ানডেতে ব্রুক একাই শতরান করে দলকে সামনে নিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দল মাত্র ১৭৫ রানে অল-আউট হয় এবং সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা তৈরি করল অযাচিত রেকর্ড
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং একেবারেই ভেঙে পড়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডের টপ-ফাইভ ব্যাটসম্যান মিলে মোট করেছেন মাত্র ৮৪ রান! এটি হয়ে গেল পুরুষদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে টপ-অর্ডারের সবচেয়ে কম রান।

সবচেয়ে কম রান (টপ-অর্ডার) ওয়ানডে সিরিজে:

ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড (২০২৫) - ৮৪ রান

বাংলাদেশ এশিয়া কাপ (১৯৮৮) - ৮৯ রান

জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ (২০০৯) - ১০০ রান

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান (২০১১) - ১০১ রান

টপ-অর্ডার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে
জেমি স্মিথ, বেন ডাকেট, জো রুট, জ্যাকব বেথেল এবং অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক—সবাই মিলেছেন টেস্ট দলের সদস্য, কিন্তু ওয়ানডেতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এমনকি জো রুটের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও এই সিরিজে দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি।

জেমি ওভারটন একাই দলকে রক্ষা করলেন
এই বিপর্যয়ের মধ্যে একমাত্র সান্ত্বনা ছিলেন অল-রাউন্ডার জেমি ওভারটন। তিনি এই সিরিজে খুবই ধারাবাহিক ছিলেন। প্রথম দুটি ম্যাচে ৪০-এর কোঠায় রান করার পর শেষ ওয়ানডেতে তিনি করেন ৬৮ রান। তিনিই ছিলেন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার এই প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ড শেষ ম্যাচে ২২২ রান করতে পেরেছিল, নইলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো।

 

news