দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর পাকিস্তান দলের সাফল্য নিয়ে মুখ খুললেন অধিনায়ক সালমান আলী আগা। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হার এবং এশিয়া কাপে রানার-আপ হওয়া সত্ত্বেও তিনি দাবি করলেন যে পাকিস্তানের জয়ের শতাংশ ৭০% রয়েছে, যা বিশ্বের সেরা দলগুলোর মতো।
লাহোরে তৃতীয় ও চূড়ান্ত টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে তারা সিরিজটি ২-১-এ নিজেদের করে নেয়। চূড়ান্ত ম্যাচে ১৪০ রানের টার্গেট ৬ উইকেট ও ৬ বল বাকি থাকতেই অর্জন করে তারা। বাবর আজম তার অর্ধ-শতকের জন্য ম্যাচসেরা হন।
সালমান আগার যুক্তি
ম্যাচ পরের প্রেস কনফারেন্সে সালমান আলী আগাকে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "স্যার, আমরা বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারিয়েছি এবং এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলেছি। তাই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে একটি narrative আছে। কিন্তু আপনি যদি তথ্য দেখেন, আমাদের জয়ের অনুপাত ৭০%। বিশ্বে যে কোনো নম্বর ওয়ান দলেরই এই রকম অনুপাত থাকে।"
২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
আসন্ন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য) নিয়ে সালমান আগা বলেছেন, সেখানে কম স্কোরের পিচ পাওয়া যাবে। তার ধারণা, টুর্নামেন্টের শেষ দিকে ১৪০-১৫০ রানের ম্যাচই সাধারণ হবে।
তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না সেখানে ১৭০ বা ১৮০ রানের ম্যাচ হবে। আপনি ১৪০ বা ১৫০ রানই দেখবেন। হয়তো শুরুতে ১৬০-১৭০ হবে, কিন্তু business end-এ আপনি ১৪০-১৫০ রানের ম্যাচ পাবেন। ২০১২ বা ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে বিশ্বকাপ জিতেছিল সেটাও একই রকম ছিল; শেষের দিকের ম্যাচগুলো ১৩০-১৪০ রানের কাছাকাছি ছিল।"
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি কীভাবে জিতল পাকিস্তান?
পাকিস্তানের বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আবদ্ধ রাখে। শাহীন আফ্রিদি কুইন্টন ডি কক ও লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াসকে শূন্য রানে আউট করে দেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান।
সাইম আইয়ুব শূন্য রানে আউট হলেও বাবর আজম ও সাহিবজাদা ফারহান ৩৬ রানের জুটি গড়েন। এরপর বাবর ও সালমান আগা ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান। শেষ মুহূর্তে কিছু উইকেট পড়লেও ফাহিম আশরাফ ও উসমান খান ১০ বলে ৭ রান করে দলকে নিশ্চিত জয় এনে দেন।
