হঠাৎ করেই বার্সেলোনার মাঠে হাজির লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির হয়ে জোড়া গোল দিয়ে দলকে এমএলএস প্লে-অফে তুলেই উড়াল দিলেন স্পেনে। পরের দিনই তাঁকে দেখা গেল বার্সার পুনর্নির্মিত ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে। ফাঁকা স্টেডিয়ামের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই আবার জোরেশোরে জ্বলে উঠল বার্সেলোনায় ফেরার জল্পনা।
এক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি নিজের মনের কথা খুলেই বলেছেন, 'আমি সত্যিই বার্সেলোনায় ফিরতে চাই। আমরা সবাই এই শহরটাকে খুবই মিস করি। এখানে আমাদের বাড়ি আছে, অগুন্তি স্মৃতি আছে। তাই আমরা নিয়মিতই ফেরার কথা বলি।'
বার্সেলোনার ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকেও একদিন কাঁদতে কাঁদতে ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল। সেই মুহূর্তের ছবি তখন সারা বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল। যদিও এখন তিনি ইন্টার মায়ামিতে দারুণ সাফল্য পাচ্ছেন, তবুও বার্সা এখনও তাঁর হৃদয়ের জুড়ে আছে।
ক্যাম্প ন্যুতে তাঁর পা পড়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। মেসি একের পর এক কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। একটি ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে স্টেডিয়ামের ফাঁকা ঘাসে একা দাঁড়িয়ে থাকতে। আরও দুটি ছবিতে তিনি স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছেন এই c স্টেডিয়ামের দিকে।
এই ছবিগুলোর সঙ্গে মেসি লিখেছেন, 'গত রাতে আমি এমন এক জায়গায় গিয়েছিলাম, যাকে আমি আমার হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। সেই মুহূর্তে আমি ছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে খুশি মানুষ। আশা করি, একদিন আবার আমি এখানে ফিরতে পারব।'
প্রায় দুই বছর পর ক্যাম্প ন্যুতে পা রেখে এই মহাতারকা বলেন, 'আমি এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে বার্সেলোনা ছেড়ে চলে এসেছিলাম। শেষ মৌসুমটা ছিল দর্শকহীন, কারণ তখন করোনা মহামারির সময়। প্রায় পুরো জীবন এখানে কাটানোর পর সেভাবে বিদায় নেওয়াটা ছিল এক অবিশ্বাস্য ও কষ্টদায়ক ব্যাপার।'
লা মাসিয়া একাডেমি থেকেই বিশ্ব ফুটবল শাসন করা শুরু করেন মেসি। তাঁর ভাষায়, 'শৈশবে আমার এখানে আসাটা ছিল একটা আশীর্বাদের মতো। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে এই ক্লাব এবং এই শহরে।' এই বার্সা শহরই জানে তাঁর 'প্রথম' সবকিছু।
২০০৪ সালে বার্সার মূল দলে অভিষেক ঘটে লিওনেল মেসির। এরপর ৭৭৮টি ম্যাচে বার্সার জার্সি গায়ে তিনি যা যা করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
