ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে জয় তুলেছে লাতিন ফুটবলের জায়ান্ট ব্রাজিল। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে আফ্রিকার দেশ সেনেগালকে সেলেসাওরা হারিয়েছে ২-০ গোলে। ২৮ ও ৩৫ মিনিটে গোল দুটি করেছেন এস্তেভাও উইলিয়ান ও কাসেমিরো।
লন্ডনের মাঠে নেমে দ্বিতীয় মিনিটে সেনেগালের গোলকিপার এদুয়ার্দো মেন্ডির ভুলে ভালো সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ভিনিসিয়াস জুনিয়র, গোলকিপারের হাতে মারেন বল। পরের মিনিটে সেনেগাল দুটি সুযোগ পেলেও এ যাত্রায় ব্রাজিলের বিপদ হয়নি। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল সাদিও মানে-এস্তেভাওরা।
চতুর্থ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাথিউস কুনহা বল বারে মারলে গোলবঞ্চিত হয় ব্রাজিল। নবম মিনিটে ব্রাজিলের আরেকটি কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের ভালো সুযোগ ঠেকিয়ে দেন মেন্ডি। ১৭ মিনিটে কুনহার আরেকটি হেড সেনেগালের গোলবারে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় ব্রাজিল। ২৭ মিনিটে রদ্রিগো গোয়েসের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন মেন্ডি।
২৮ মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক দেয় ব্রাজিল। লেফট-রাইট কম্বিনেশনে লেফট উইং পাওয়া বল বাঁপায়ে জোরালে শট মারেন এস্তেভাও উইলিয়ান। ম্যাচে প্রথমবার ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৩৫ মিনিটে আবারও ব্রাজিল যাদু, রদ্রিগোর ডি বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক, বল যায় ডি বক্সে থাকা কাসেমিরোর পায়ে। ফাঁকায় পাওয়া বলে বাকানো শটে গোল করেন কাসেমিরো, ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
৪৫ মিনিটে সেনেগালের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ের ডানপায়ের বুলেটগতির শট ঠেকিয়ে দেন এডারসন মার্কেজ। পাপে গুয়ের ফিরতি শটও ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলকিপার। এরপর ইসমাইলা সার ও ইসমাইলা জ্যাকবের আরও দুটি শট ঠেকিয়ে দেন এডারসন। বিরতিতে ওই ২-০ ব্যবধানই ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পেয়েছিল সেনেগাল। ৫২ মিনিটে এডারসনের কাছে দেয়া ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে ভুল করার বল যায় লিমান দিয়ের কাছে। তিনি বল মারেন গোলপোস্টের বারে। ৭০ মিনিটে ভিনিসিয়াসের একক প্রচেষ্টায় গোলমুখে নিয়ে যাওয়া বল কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ইসমাইল জ্যাকব। ৮৬ মিনিটে ব্রুনো গিমারাইসের বাঁপায়ের শট ব্লক করে দেয় সেনেগালের ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয়ার্ধে দুদল আরও কিছু আক্রমণ করলেও কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। পরে প্রথমার্ধের ফলাফল নির্ধারণী ওই ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কালো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
