ছয় বছর পর ইডেনে টেস্ট ক্রিকেট ফিরলেও ভারতীয় দলের জন্য তা মোটেও সুখকর হয়নি। মাত্র ৩০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যেতে হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ভারতকে।
আড়াই দিনের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি আলো কাড়ে ইডেনের পিচ। চার ইনিংস মিলিয়ে অর্ধশতরান পেয়েছেন একমাত্র ব্যাটার—দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা। বাকি ব্যাটাররা একেবারেই ব্যর্থ, আর পুরো ম্যাচ যেন বোলারদের দাপটেই চলেছে।

ঘরের মাঠে এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবেই পিচ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ম্যাচ–শেষ সংবাদ সম্মেলনে সেই বিতর্কে জল ঢাললেন ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন—উইকেটে কোনো রহস্য ছিল না।
গম্ভীর বলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট যেমন পিচ চাইছিল, কিউরেটর ঠিক তেমনটাই তৈরি করেছেন। আর চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ভারত মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়, যা টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।

পিচের অসম বাউন্স ও অতিরিক্ত টার্ন নিয়ে সমালোচনা হলেও গম্ভীর তা মানতে রাজি নন। তিনি জানান, সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিও বলেছেন—ভারতের নির্দেশ মেনেই পিচ প্রস্তুত করা হয়েছে।


“এটা কোনওভাবেই খেলা না যাওয়ার মতো পিচ নয়। আমরা যেমন চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই তৈরি হয়েছে। কিউরেটর সুজন মুখার্জি দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন। যে মানসিকভাবে শক্ত থেকেছে এবং ডিফেন্স ভাল করেছে, সে-ই রান করেছে।”

তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন বাভুমার অপরাজিত ৫৫ রান এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের ৯২ বলে ধৈর্যশীল ৩১ রানের কথা। গম্ভীর বলেন,
“এই পিচে কোনো জুজু ছিল না। অক্ষর, টেম্বা, ওয়াশিংটন—তিনজনই রান করেছে। আর যদি কেউ এটাকে টার্নিং ট্র্যাক বলে, মনে রাখবেন—বেশিরভাগ উইকেটই নিয়েছে সিমাররা।”

গম্ভীর আরও জানান, ভারত শুরু থেকেই এমন পিচ চেয়েছিল যাতে প্রথম দিন থেকেই স্পিন সহায়তা করে, এবং টস ম্যাচের ফল নির্ধারণ না করতে পারে।

“আমরা এমন পিচ চাই যা প্রথম দিন থেকেই স্পিন করবে। যাতে টস গুরুত্বপূর্ণ না হয়। আমরা যদি ম্যাচটা জিততাম, কেউ পিচ নিয়ে এত প্রশ্ন করতেন না।”
উইকেটকে ‘অতিরিক্ত কঠিন’ বলা নিয়ে তিনি একদমই একমত নন। গম্ভীরের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করতে চাইলে রান পাওয়া সম্ভব, কিন্তু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক মানসিকতায় খেললে সমস্যা হবেই।

“কেএল রাহুল, বাভুমা, সুন্দর—তারা সবাই রান করেছে। ডিফেন্স করলে এই উইকেটে রান করা যায়। এর আগেও আমরা এমন পিচে খেলেছি,”—যোগ করেন কোচ গম্ভীর।

 

news