এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) রাইজিং স্টার্স ক্রিকেটে বাংলাদেশের যুবাদের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ দল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়ক আকবর আলীদের দল উড়িয়ে দিলো আফগানিস্তানকে!

আগে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আফগানিস্তান। পেসার রিপন মন্ডল আফগানদের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন। এরপর স্পিনার রাকিবুল হাসান এসে ধসিয়ে দেন আফগানিস্তানের মিডল অর্ডার। আর তাতেই আফগানরা মাত্র ৭৮ রানে অল আউট হয়ে যায়।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসে ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। যদিও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাবিবুর রহমান সোহান আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রান করে। একই রানে ১০ রান আউট হন আরেক ওপেনার জিসান আলমও।

এরপর অবশ্য জয় পেতে বাংলাদেশকে আর কোনো বেগ পেতে হয়নি। জাওয়াদ আবরার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। জাওয়াদ অপরাজিত থাকেন ২৪ রান নিয়ে এবং অঙ্কন ২৭ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন।

যেভাবে শুরু হলো আফগানদের ব্যাটিং বিপর্যয়
এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে বেশি সময় নেননি পেসার রিপন মন্ডল। মাত্র ১৬ রানের মধ্যেই আফগানিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি।

দলীয় ৪ রানে ইমরান মীরকে হারায় আফগানিস্তান। রিপনের বলে শর্ট ফাইন লেগে রাকিবুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

এরপর তৃতীয় ওভারে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন রিপন। প্রথমে ৮ রান করা সেদিকউল্লাহ অতলের উইকেট নেন। এরপর ১ রান করা নূর উল রহমানকেও ফেরান তিনি।

এরপর দলীয় পঞ্চাশের আগে আরও দুই উইকেট হারায় আফগানরা। এই দুটি উইকেটই পান মেহরব হোসেন। ইজাজ আহমেদকে তিনি মাত্র ১২ রানে ফেরান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে এবং নাঙ্গোলিয়া খারোট আউট হন এক্সট্রা কাভারে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে।

রাকিবুল হাসানের ঘুর্ণি: ম্যাচের মোড় ঘোরানো স্পেল
এরপর দারউইশ রাসুলী ও ফরমানউল্লাহ সাফি মিলে আফগানিস্তানের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন। এই জুটি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ভুলে জীবনও পায়। কিন্তু রাকিবুল হাসান এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি। ৬ রান করা সাফিকে বোল্ড করে ২৭ রানের জুটিটি ভাঙেন এই স্পিনার।

এরপর ২৭ রান করা রাসুলীকে বোল্ড করে ফেরান আব্দুল গাফফার সাকলাইন। কাইস আহমেদও রাকিবুলের বলে বোল্ড হয়ে যান। রাকিবুল ফিরিয়েছেন আব্দুল্লাহ আহমদজাইকেও, যিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। টপ এজ হয়ে এক্সট্রা কাভারে তিনি ক্যাচ দেন জাওয়াদ আবরারকে। এরপর কাইস ১১ রান করে রান আউট হলে আফগানিস্তানের ইনিংস ৭৮ রানে গুটিয়ে যায়।