দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় শঙ্কা। ঘাড়ের চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিনায়ক শুভমান গিল যদিও এখন দলের সঙ্গেই আছেন, কিন্তু গুয়াহাটিতে শুরু হতে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং করার সময়ই ঘাড়ে অস্বস্তিকর টান লাগে গিলের। ব্যথা নিয়ে তিনি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এবং তাকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিনই বিসিসিআই স্পষ্ট করে দেয় যে, গিল বাকি ম্যাচে আর অংশ নেবেন না।
অধিনায়কহীন অবস্থায় তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য ধরতে নেমে মাত্র ৩০ রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত। এই হারের ফলে ম্যাচটি আগেই শেষ হয়ে যায়, যার কারণে দুই দলই এখনও কলকাতায় অবস্থান করছে।
ভারত দল মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সেই অনুশীলন করবে বলে জানা গেছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া গিলের সেই অনুশীলন সেশনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমনকি, বুধবার দল যখন কলকাতা থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওনা দেবে, সেখানেও গিলের সঙ্গে যাওয়া নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে কোচ গৌতম গম্ভীর এই চোটের বিষয়টি স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, গিলের অবস্থার ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই সমস্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই গুয়াহাটি টেস্টে তার খেলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শেষ মুহূর্তে যদি গিল সত্যিই খেলতে না পারেন, তাহলে দলের হাল ধরবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিশভ পন্ত। আর একাদশে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পেতে পারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন অথবা দেবদূত পাডিক্কাল।
একটি মজার তথ্য হলো, যদি দলে শুধুমাত্র একটি পরিবর্তনই করা হয়, তাহলে ভারতের একাদশে সাতজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকবেন। এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কলকাতার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার অফ-স্পিনার সাইমন হারমার যে ৮টি উইকেট পেয়েছিলেন, তার মধ্যে ৬টিই ছিল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
উল্লেখ্য, গিলের এই ঘাড়ের সমস্যা নতুন নয়। গত বছর অক্টোবর মাসেও একই ধরনের সমস্যার কারণে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ম্যাচ মিস করেছিলেন।
