কোলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩০ রানের লজ্জাজনক হারের পর ভারতের ব্যাটিং সংকট আরও গভীর হয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে অধিনায়ক শুভমান গিলের চোট—সুইপ শট খেলতে গিয়ে হঠাৎ ঘাড় ব্যথা (নেক স্পাজম) অনুভব করেন তিনি এবং মাত্র তিন বল খেলেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
এডেন গার্ডেনে ব্যথায় হঠাৎ পড়ে যান গিল, পরে তাকে দ্রুত স্ক্যানের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। যদিও এখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবে গুয়াহাটির শেষ টেস্টে তিনি খেলতে পারবেন কি না—এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তার অংশগ্রহণ নিয়ে বড়সড় সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
কোলকাতায় ব্যাটিং ব্যর্থতার পর নতুন পরিকল্পনা ভাবতে বাধ্য ভারত
ভারত প্রথম টেস্টে খেলেছিল ছয়জন বাঁহাতি ব্যাটার নিয়ে—আর সেই দুর্বলতাকেই নির্মমভাবে কাজে লাগান দক্ষিণ আফ্রিকার অফস্পিনার সাইমন হার্মার। তিনি একাই তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। এতে ভারতের একপেশে ব্যাটিং কম্বিনেশনের সমস্যা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
দলের রিজার্ভ ব্যাটার সাই সুদর্শন ও দেবদত্ত পাডিক্কল—দুজনই বাঁহাতি। ফলে গিল না খেললে ভারতকে হয়তো সাত বাঁহাতি নিয়ে মাঠে নামতে হতে পারে। যা গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের জন্য স্বর্গ বানিয়ে দিতে পারে।
রুতুরাজ গায়কোয়াডকে দলে আনার পরামর্শ আকাশ চোপড়ার
এই পরিস্থিতিতে সাবেক ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়া মনে করেন, গিল যদি খেলতে না পারেন তবে ভারতের অবশ্যই একজন ডানহাতি ব্যাটার প্রয়োজন। আর সেই জায়গায় রুতুরাজ গায়কোয়াডই সবচেয়ে উপযুক্ত।
নিজের ইউটিউব ভিডিওতে চোপড়া বলেন,
“রুতুরাজ গায়কোয়াডকে কি টেস্ট দলে নেওয়া উচিত? আপনি ভাবতে পারেন—এটা কীভাবে সম্ভব? দল তো ইতোমধ্যেই ঘোষিত। কিন্তু গিলের খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“গিল না খেললে কাউকে তো খেলাতেই হবে। বাইরে বসে আছে সাই সুদর্শন আর দেবদত্ত পাডিক্কল—দুজনই বাঁহাতি। এখন আপনার দলে ছয়জন বাঁহাতি আছে। আপনি কি সাতজন বাঁহাতি নিয়ে নামতে চান? নিশ্চয়ই কিছু বদলানো উচিত।”
গায়কোয়াডের ধারাবাহিক ফর্মই বড় ভরসা
চোপড়া উল্লেখ করেন, রুতুরাজ গায়কোয়াডের ব্যাটিং টেকনিক ও মাঝের সারির অভিজ্ঞতা ভারতের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তিনি চাপের মুখে খেলতে পারদর্শী এবং দারুণ ফর্মে আছেন।
গুয়াহাটিই সেই মাঠ যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০তে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন গায়কোয়াড।
আকাশ চোপড়ার ভাষায়—
“তিনি দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ভারত ‘এ’-র হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রান করছেন নিয়মিত। রঞ্জি হোক বা দুলীপ—যেখানে খেলেছেন, সেখানেই রান করেছেন।”
