অ্যাশেজ ২০২৫-২৬-এর উদ্বোধনী ম্যাচের কয়েক দিন আগেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ফিটনেস নিয়ে বড়সড় আপডেট দিলেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, অধিনায়ক কামিন্সকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি পুরোপুরি ছন্দে আছেন। পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে এক ঘণ্টাব্যাপী পূর্ণ-তীব্রতার নেটে বোলিং করেছেন কামিন্স।

উল্লেখ্য, জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সময় পিঠে স্ট্রেস ইনজুরির কারণে কামিন্সকে অ্যাশেজের উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই ফাস্ট বোলার এখন অ্যাশেজ অভিযানের বাকি অংশের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন এবং তার লক্ষ্য হলো ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠা।

অ্যালেক্স ক্যারি জানিয়েছেন, সম্প্রতি নেটে প্যাট কামিন্সকে দেখে তার ছন্দ ছিল দুর্দান্ত। ক্যারি আরও যোগ করেন যে, এই পেসার অনায়াসে পূর্ণ গতিতে বোলিং করেছেন। তবে ক্যারি সতর্ক করে বলেছেন, কামিন্সকে মাঠে ফেরার আগে এখনও সামগ্রিক ম্যাচের ফিটনেস তৈরি করতে হবে।

"আমাকে একটু সংযত থাকতে হচ্ছে। আমি গতকাল নেটে তাকে বোলিং করতে দেখেছি... তাকে দেখে পুরোপুরি প্রস্তুত মনে হচ্ছিল!" "আমার মনে হয় এখন আসল কাজ হলো ফিটনেস তৈরি করা। কারণ, ১৪০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বোলিং করাটা তার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে না। গতকাল তিনি এটা খুবই অনায়াসে করেছেন। সম্ভবত ম্যাচের সামগ্রিক ফিটনেস নিয়েই এখন তাকে কাজ করতে হবে।"

প্যাট কামিন্সের দ্রুত আরোগ্য লাভের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অ্যালেক্স ক্যারি। তিনি বলেছেন, দল আশা করছে কামিন্স দ্রুত উন্নতি করবেন এবং শীঘ্রই মাঠে ফিরবেন। তবে তিনি এও যোগ করেন যে, যদি তিনি পরের ম্যাচটি মিসও করেন, তবুও অস্ট্রেলিয়ার হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ব্যাকআপ রয়েছে।

ক্যারি আরও বলেন, "ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং নিজেকে প্রস্তুত করেন। আমরা সবাই জানি প্যাট কামিন্স একজন পেশাদার খেলোয়াড়, তাই আশা করি শীঘ্রই তাকে মাঠে দেখতে পাবো। এই দলে দুর্দান্ত গভীরতা আছে, তাই যদি তিনি পরের ম্যাচে না খেলেন, তবুও আশা করি দ্রুতই তিনি ফিরবেন।"

অস্ট্রেলিয়া তাদের অ্যাশেজ অভিযান শুরু করছে শুক্রবার, ২১ নভেম্বর পার্থে। দ্বিতীয় টেস্টটি শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে। কামিন্স তার ফিটনেস ফিরে পেতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পাচ্ছেন।

প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টিভ স্মিথ
প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে পার্থ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ, আর একাদশে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে স্কট বোল্যান্ডের।

কামিন্স ২০১১ সালে অভিষেক করেন এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯১টি উইকেট নিয়েছেন।

২০১৮ সালে বড়সড় ধাক্কা-সহ পিঠের পুনরাবৃত্ত সমস্যা নিয়ে লড়াই করছেন তিনি।

অন্যদিকে, জফ্রা আর্চার, গুস অ্যাটকিনসন, জশ টাং, ব্রাইডন কার্স এবং মার্ক উডের মতো শক্তিশালী পেস আক্রমণ নিয়ে ইংল্যান্ড এসেছে অস্ট্রেলিয়ায়। সাবেক ইংলিশ ফাস্ট বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড অবশ্য এই অস্ট্রেলিয়া দলকে গত ১৫ বছরের মধ্যে তাদের সবচেয়ে দুর্বল দল বলে মন্তব্য করে পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন করে আগুন দিয়েছেন।

ইংল্যান্ড গত দুই দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ায় সংগ্রাম করছে এবং ২০১০-১১ সিরিজের পর তারা মাত্র একটি অ্যাশেজ টেস্ট জিতেছে। অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ ঘরের মাঠের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল (যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কামিন্স)। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডে ২-২ ড্রয়ের মাধ্যমে তারা অ্যাশেজ ট্রফি ধরে রেখেছে।

 

news