এই আর্টিকেলে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লীগ টি-টোয়েন্টি (ILT20)-এর নবম ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের (Desert Vipers) বিরুদ্ধে MI এমিরেটসের (MI Emirates) সম্ভাব্য একাদশ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
MI এমিরেটস বনাম ডেজার্ট ভাইপার্স - ILT20 2025-26, ম্যাচ ৯: সম্ভাব্য একাদশ
ওপেনার: মুহাম্মদ ওয়াসিম, জনি বেয়ারস্টো (উইকেটরক্ষক)
আসন্ন এই ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে MI এমিরেটস চাইবে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের (Sharjah Warriors) বিপক্ষে চলমান ILT20 সিজনে তাদের সর্বশেষ ম্যাচের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে।
শারজাহর মতো হাই-স্কোরিং পিচে কাইরন পোলার্ডের নেতৃত্বাধীন দলটি ১৮৫ রানের মাঝারি স্কোর ডিফেন্ড করে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে চার রানের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছিল, যা এই সিজনে তাদের প্রথম জয় এনে দেয়।
MI এমিরেটস তাদের পরবর্তী ম্যাচটি খেলবে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। এই পিচটি সাধারণত বোলার-ব্যাটসম্যান উভয়ের জন্য সহায়ক হয়ে থাকে ('স্পোর্টিং উইকেট')। তাই, প্রথমে ব্যাট করে ১৮০-১৯০ রানের স্কোর যথেষ্ট নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই রান তুলতে হলে প্রথম ছয় ওভারে ওপেনারদের কাছ থেকে একটি শক্তিশালী সূচনা আশা করবে MI এমিরেটস। আর টপ অর্ডারে সেই দায়িত্ব পালনের ভার থাকবে মুহাম্মদ ওয়াসিম এবং জনি বেয়ারস্টোর উদ্বোধনী জুটির ওপর।
মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ও অলরাউন্ডার: টম ব্যান্টন, নিকোলাস পুরান, কাইরন পোলার্ড (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, রোমারিও শেফার্ড, তাজিন্দর ধিলন
MI এমিরেটসের মিডল-অর্ডারে রয়েছে টম ব্যান্টন, নিকোলাস পুরান এবং অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের মতো হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানরা, যারা নিজেদের দিনে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।
এছাড়াও, দলে রয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং রোমারিও শেফার্ডের মতো অলরাউন্ডাররা, যারা ব্যাট ও বল—উভয় বিভাগেই ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারেন।
টপ সেভেনে এতজন হার্ডহিটার থাকায় দলটি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে। তবে, মূল দায়িত্ব থাকবে টপ-ফাইভ ব্যাটসম্যানদের কাঁধে, যাদের দলটির জন্য বড় রান করতে হবে।
বোলার: এএম গজনফর, নবীন উল হক, জহুর খান
MI এমিরেটসের বোলিং আক্রমণের দিকে তাকালে দেখা যায়, এখানে অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যের একটি দারুণ মিশ্রণ রয়েছে—যার মধ্যে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, নবীন উল হক এবং জহুর খান।
স্পিন বোলিং বিভাগ সামলাবেন সাকিব এবং গজনফর, আর তাঁদের কিছুটা সাহায্য করবেন তাজিন্দর সিং। পিচের কন্ডিশন শুষ্ক থাকলে ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোতে এই স্পিনার ত্রয়ীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যেতে পারে।
দলটির ফাস্ট বোলিংয়ের দায়িত্বে থাকছেন নবীন উল হক এবং জহুর খান, যারা পাওয়ার-প্লে এবং ইনিংসের শেষ দিকে শক্তিশালী পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করবেন।
পোলার্ডের দলে ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য আরও বিকল্প আছে। স্বয়ং অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বল হাতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া, রোমারিও শেফার্ড গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট তুলে নেওয়ার জন্য পরিচিত।
