ভারতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং সম্মানিত হলেন মুলানপুরের মহারাজা যদবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে—যা নতুন চণ্ডীগড় স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর এখানেই প্রথমবার পুরুষদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচ শুরুর আগে উৎসবের আমেজে স্টেডিয়ামের দুটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়—একটি ভারতের নারী দলের অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌর, আরেকটি যুবরাজ সিংয়ের নামে।
পরিবার ও সতীর্থদের সঙ্গে হাজির যুবরাজ—বড় তারকা দুইজনকে ঘিরে উচ্ছ্বাস
পরিবার, সতীর্থ ও অতিথিদের নিয়ে হাজির হন দুই ক্রিকেট তারকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ও নবনির্বাচিত বিসিসিআই সভাপতি মিঠুন মানহাস।
যুবরাজের উপস্থিতিতে দর্শক আর ভারতীয় দলের উৎসাহ যেন আরও বেড়ে যায়। তিনি কোচ গৌতম গম্ভীর ও বোলিং কোচ মরনে মর্কেলের সঙ্গে কথা বলেন, খেলোয়াড়দেরও উৎসাহ দেন।
টিম হাডলে বিশেষ বার্তা—পুরোনো ‘ইয়ুভি এনার্জি’ ফিরে পেল দল
যুবরাজ শুধু হাজিরই হননি; ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের হাডলেও যোগ দেন। পুরোনো সেই প্রাণশক্তি, তেজ আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দিয়ে ছুঁয়ে যান সবাইকে।
বিসিসিআইয়ের পোস্ট করা এক ভিডিওতে যুবরাজ বলেন—
“ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে দারুণ লাগল। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা বলার মতো কিছু কথা পেয়ে যেতাম, যা মাঠে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিত। আবার সেই অনুভূতি পেলাম।”
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ নিয়ে যুবরাজের জোরালো ভবিষ্যদ্বাণী
দুই বিশ্বকাপজয়ী এই নায়ক ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটে আধিপত্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন—
“গত কয়েক বছরে এই ছেলেদের খেলা দেখছি। টি–টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে আমরা সেরা দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনাল বা ফাইনালে যাবে—এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন—
“জিতুক বা হারুক—আমি সবসময় ভারতের পাশে। আমার ক্যারিয়ারে যেমন অনেক হার দেখেছি, তেমনি বড় জয়ও এসেছে। দল হিসেবে একসঙ্গে থাকলে ফল আসবেই।”
ভারতীয় ক্রিকেটে যুবরাজ সিং—অমলিন এক অধ্যায়
৪০ টেস্ট, ৩০৪ ওয়ানডে ও ৫৮ টি–টোয়েন্টি খেলা যুবরাজ ২০১৭ সালে জাতীয় দলের জার্সি শেষবার পরেন। ২০০৭ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ভারতের নায়ক—যার ছাপ আজও অম্লান।
