টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি নেই দুই মাসও। শেষ প্রস্তুতি সেরে নিতে এই সময়টায় বেশিরভাগ পূর্ণ সদস্য দেশ ব্যস্ত থাকবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলায়। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক ভারত, যাদের প্রস্তুতি থাকছে সবচেয়ে শক্তিশালী।
আগামী বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত–শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর, চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আইসিসির সব ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশ।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বকাপের আগে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের।
বাংলাদেশ ম্যাচ না পেলেও খেলার বাইরে থাকছে না ক্রিকেটাররা। এই সময়ই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), যা চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অন্যদিকে প্রস্তুতিতে সবার ওপরে ভারত। ডিসেম্বর–জানুয়ারি মিলিয়ে তারা খেলবে মোট ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ—সবই ঘরের মাঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান ৫ ম্যাচের সিরিজ শেষ করে জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও ৫ ম্যাচ খেলবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার—মোট ৮টি। ভারতের মাটিতে সিরিজ শেষে তারা দেশে ফিরেই খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও ৩ ম্যাচ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্যারিবিয়ানদের এ ছাড়া আর কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই বিশ্বকাপের আগে।
সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান খেলবে সমান ৬টি করে ম্যাচ। এর মধ্যে নিজেদের মধ্যেই হবে ৩ ম্যাচের একটি সিরিজ।
২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া জানুয়ারির শেষ দিকে পাকিস্তানের মাটিতে খেলবে ৩ ম্যাচ। আর দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় ৩ ম্যাচ খেলে সেরে নেবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।
