শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর পর্দা উঠছে অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপ ২০২৫–এর। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আলোচনার কেন্দ্রে ভারত—আর তার চেয়েও বড় বিষয়, ভারত–পাকিস্তান হাইভোল্টেজ লড়াই।
আয়ুশ মহাত্রের নেতৃত্বে ভারতীয় দলকে ফেভারিট ধরা হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে বিস্ফোরক ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী। ভারত রয়েছে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে এ গ্রুপে। অন্যদিকে, গ্রুপ ‘বি’তে আছে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপাল।
১৪ ডিসেম্বর দুবাইয়ে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ—এর আগেই আইসিসির হস্তক্ষেপ
১৪ ডিসেম্বর দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে হবে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ—ভারত বনাম পাকিস্তান।
কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগেই বিতর্ককে কেন্দ্র করে মাঠে নেমেছে আইসিসি। কারণ, সাম্প্রতিক কয়েকটি টুর্নামেন্ট—২০২৫ এশিয়া কাপ, নারী বিশ্বকাপ এবং রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে—ভারতীয় দল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলানো থেকে বিরত থাকে। এমনকি কোনো ধরনের কথোপকথনও হয়নি।
এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সংহতি জানাতে। এই প্রবণতা অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপেও দেখা যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি।
“রাজনীতি সরিয়ে রাখুন”—ভারত–পাকিস্তান খেলোয়াড়দের হাত মেলানোর নির্দেশ দিল আইসিসি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে—খেলার পর দুই দলের ক্রিকেটারদের হ্যান্ডশেক করতেই হবে। জুনিয়র টুর্নামেন্টে রাজনীতি যেন সামনে না আসে, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় আইসিসি।
আইসিসি বিসিসিআইকে জানিয়েছে—ভারতীয় খেলোয়াড়দের পাকিস্তান দলের সঙ্গে হাত মেলানো এড়ানো যাবে না।
তবে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন—খেলোয়াড়দের আলাদা করে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে দলের ম্যানেজার আনন্দ দাতার এবং কোচ হৃষিকেশ কানিটকারকে পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বিসিসিআই কি নতুন বিতর্কের প্রস্তুতি নিচ্ছে?
এক বিসিসিআই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন—
“ছেলেদের কিছু বলা হয়নি। তবে ম্যানেজার আনন্দ দাতারকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যদি খেলোয়াড়রা হাত না মেলায়, তাহলে তা আগে থেকেই ম্যাচ রেফারিকে জানাতে হবে।
আইসিসি চায় না জুনিয়র ক্রিকেট রাজনীতির মঞ্চ হয়ে উঠুক—এটা খারাপ বার্তা পাঠায়।”
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। এবার আইসিসির নতুন নির্দেশনায় বিতর্ক কি থামবে, নাকি আবারও আলোচনায় আসবে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক—তা জানাবে মাঠের দিনটি।
