জয়পুরের সাওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর বিজয় হাজারে ট্রফি ২০২৫-২৬-এর ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে ভয়ঙ্কর একটা মুহূর্ত দেখা গেছে। মুম্বাইয়ের তরুণ ব্যাটার অঙ্গকৃষ রঘুবংশী মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠেই পড়ে থাকেন।

২১ বছরের এই ব্যাটার ফিল্ডিং করছিলেন, তখনই এই দুর্ঘটনা। পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ হয়ে যায়, সবাই চিন্তায় পড়ে যান তরুণের জন্য। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় ছিল যে অঙ্গকৃষ উঠতে পারছিলেন না, মাঠেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দরকার হয়।

জয়পুরে বড় আতঙ্ক, বিজয় হাজারে ম্যাচে অঙ্গকৃষ রঘুবংশীর মাথা-ঘাড়ে চোট

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের এই ব্যাটারকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয়, খেলোয়াড়রা চিন্তিত হয়ে তার চারপাশে জড়ো হন। তারপর তাকে জয়পুরের সন্তোকবা দুর্লভজি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চেকআপের জন্য।
স্পোর্টস্টারের দাবি, স্ট্রেচার আর অ্যাম্বুলেন্স আনতে একটু দেরি হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তোলে। সেই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে অঙ্গকৃষ স্পষ্ট অস্বস্তিতে ছিলেন এবং ঘাড় নাড়াতে কষ্ট হচ্ছিল।

মুম্বাই ও কেকেআরের তরুণ অঙ্গকৃষ রঘুবংশী চোট পেয়ে জরুরি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মুম্বাইয়ের অঙ্গকৃষ রঘুবংশীকে স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে নামানো হয় এবং জয়পুরের কাছের হাসপাতালে নেওয়া হয় 

অঙ্গকৃষ একটা কঠিন ক্যাচ নিতে গিয়ে মাথা ও কাঁধে চোট পান। জরুরি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন।

আশা করি সব ঠিক আছে, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।

তরুণ ব্যাটার একটা অসম্ভব ক্যাচ নিতে গিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পড়ে যান এবং মাথা, কাঁধ ও ঘাড়ে চোট পান। চোটটা এত গুরুতর যে তাকে তৎক্ষণাৎ মাঠের বাইরে নিয়ে আরও চেকআপ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেট: অঙ্গকৃষের অবস্থা

মুম্বাই দলের কাছের একটা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউজ১৮ জানিয়েছে যে অঙ্গকৃষ রঘুবংশী এখন স্থিতিশীল অবস্থায়। ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় সিটি স্ক্যান করেছেন চোটের পরিমাণ ঠিকমতো বোঝার জন্য।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) এই ব্যাটার এখনো চিকিৎসকদের নজরদারিতে, ডাক্তাররা চোটের প্রভাব দেখছেন এবং নিশ্চিত করছেন যে কোনো গুরুতর সমস্যা নেই।
অঙ্গকৃষ এই ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে ২০ বলে ১১ রান করেছিলেন। এই ম্যাচের আগে তিনি ধারাবাহিকতা খুঁজছিলেন। তার আগের পাঁচ ইনিংসে স্কোর ছিল ৩৮, ০, ৭, ৪ এবং অপরাজিত ৩৮।

অঙ্গকৃষের আতঙ্কের ছায়ায় মুম্বাইয়ের রোমাঞ্চকর জয়

মুম্বাই প্রথমে ব্যাটিং করে উত্তরাখণ্ডের কাছে শুরুতে বিপদে পড়ে। পাওয়ারপ্লে-র মধ্যে দুটো উইকেট হারিয়ে ২২/২ হয়ে যায়। টপ অর্ডার ধুঁকতে থাকলে মুশির খান ও তার ভাই সরফরাজের কাঁধে দায়িত্ব আসে।

দুজনে দারুণ ধৈর্য দেখিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১০৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন। কিন্তু উত্তরাখণ্ড ফিরে আসে, মুম্বাই আবার ধুঁকতে শুরু করে ১৩৩/৪ হয়ে যায়।
সিদ্ধেশ লাড ও উইকেটকিপার হার্দিক তামোরে পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রান যোগ করে দলকে ফিরিয়ে আনেন। লাড দেবেন্দ্র সিং বোরার বলে আউট হলে তামোরে ইনিংস ধরে রাখেন। অধিনায়ক শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান।

উত্তরাখণ্ডের দারুণ লড়াই মুম্বাইয়ের বিপক্ষে

ঠাকুর আউট হলে তামোরে শামস মুলানির সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৯৫ রান যোগ করেন। তামোরের অপরাজিত ৯৩ এবং মুশির-সরফরাজের হাফ-সেঞ্চুরিতে মুম্বাই ৩৩১/৭-এর বিশাল স্কোর গড়ে। উত্তরাখণ্ডের হয়ে দেবেন্দ্র সিং বোরা বল হাতে সেরা, ১০ ওভারে ৩/৭৪ নেন।
জবাবে উত্তরাখণ্ডের শুরুটা খারাপ হয়। য়ুবরাজ চৌধুরী (৯৬) ও জগদীশ সুচিথ (৫১) চেষ্টা করলেও মুম্বাই ৫১ রানে ম্যাচ জিতে যায়। চলমান বিজয় হাজারে ট্রফি ২০২৫-২৬-এ এটা মুম্বাইয়ের টানা দ্বিতীয় জয়।

 

news