পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের তারকা পেস বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদির স্বাস্থ্য নিয়ে একটি ইতিবাচক আপডেট দিয়েছে। পিসিবি নিশ্চিত করেছে যে, শাহীনের হাঁটুর আঘাত তেমন গুরুতর নয়।

শাহীন আফ্রিদির আঘাত: বিগ ব্যাশ লিগে ধাক্কা, কিন্তু বিশ্বকাপের আশা আছে
শাহীন আফ্রিদির বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) ২০২৫-২৬ ক্যাম্পেইন আকস্মিকভাবে শেষ হয়েছে। ব্রিসবেন হিটের হয়ে খেলার সময় হাঁটুতে আঘাত পাওয়ায় এই পাকিস্তানি পেসার দেশে ফিরে গেছেন।

বামহাতি এই পেসার হিটের হয়ে চার ম্যাচ খেললেও তার অবস্থান ছোট হয়ে যায় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে বোলিং করার সময় ডান হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার পর। শাহীনকে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এবং পরে পিসিবি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে। তাই পিসিবি সতর্কতা হিসেবে আফ্রিদিকে ফিরিয়ে এনেছে, যাতে বিবিএলে আরও ম্যাচ খেলার চাপ না দিয়ে তার পুনর্বাসন ও সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়।

এখন একটি নতুন রিপোর্টে জানা গেছে, এই বামহাতি স্পিডস্টারের আঘাত মোটেও গুরুতর নয়, যা আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের উদ্বেগ অনেকটাই কাটিয়েছে। শাহীন আফ্রিদি আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে নেটে বোলিং শুরু করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

একজন সিনিয়র পাকিস্তানি সাংবাদিক সালিম খালিক জানিয়েছেন, "শাহীন শাহ আফ্রিদির আঘাত গুরুতর নয়; তিনি ১০-১৫ দিনের মধ্যে নেটে বোলিং শুরু করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।"

পুরনো আঘাতের স্মৃতি
এই আঘাত শাহীনের দীর্ঘদিনের হাঁটুর সমস্যার স্মৃতি ফের তুলে এনেছে। তিনি আগে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় একটি টেস্ট ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় একই ডান হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন। সেই আঘাতের কারণে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দিকের ম্যাচগুলো মিস করতে হয়েছিল।

তবে আফ্রিদি টুর্নামেন্টের পরের দিকে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে সেই সমস্যাটি আবার দেখা দেয়, যেখানে তিনি ম্যাচের শেষ ওভারগুলোতে বোলিং করতে গিয়ে ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন। এটি পাকিস্তানের জন্য বিশ্বকাপ জয়ের লড়াইয়ে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। তাই এবার পিসিবি সেই একই পরিস্থিতি এড়াতে চাইছে।

শাহীনের বিবিএল ক্যাম্পেইন এবং পুনর্বাসনের পথ
অস্ট্রেলিয়ায় শাহীনের অভিজ্ঞতা কঠিন ও ভুলে যাওয়ার মতো ছিল। তিনি চার ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট নিয়েছিলেন এবং ১১.১৯ ইকোনমি রেটে প্রচুর রান খরচ করেছিলেন। ব্রিসবেন হিটের এই বোলার বিবিএল মৌসুমের শুরু থেকেই লড়াই করছিলেন।

এই ফাস্ট বোলারকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ পরিকল্পনার অংশ রয়েছেন। তার গতি, সুইং এবং প্রথম দিকেই উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা তাকে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের একটি করে রেখেছে।

এখন সব নজর থাকবে শাহীনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দিকে। পাকিস্তান আশা করছে, তাদের এই তারকা পেসার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সময়মতো সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ফিরে আসবেন।

 

news