স্পোর্টস ডেস্ক: ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে নিজেদের প্রাক্তন তারকাকে ভরসা করল শ্রীলঙ্কা। লাসিথ মালিঙ্গাকে বড় দায়িত্ব দিয়েছে তারা। কিন্তু মাত্র এক মাসের জন্যই এই ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসারকে।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, মালিঙ্গা দলে স্বল্পমেয়াদি পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে তার কাজ শুরু হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। এই এক মাসে তার কাজ হবে বিশ্বকাপের জন্য দলের বোলিং অ্যাটাককে আরও মজবুত করা।

এই ঘোষণার পর নতুন জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে যদি মালিঙ্গাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে মাত্র এক মাসের জন্য কেন? ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের সময়ও তো তাকে রাখা যেত। মালিঙ্গার মতো ক্রিকেটার ডাগআউটে থাকলে শ্রীলঙ্কার বোলাররাই সবচেয়ে লাভবান হতো। ম্যাচ চলাকালীনও তার পরামর্শ পেতেন তারা। এক মাসে মালিঙ্গা কতটা কী করতে পারবেন, সেটা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সোনালি যুগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মালিঙ্গা। সেই সময় ২০০৭ আর ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া আর পরেরবার ভারতের কাছে হেরে যায় তারা। ২০০৯ ও ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রানার্স-আপ হয়। ২০১৪ সালে জিতে নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তারপর থেকে বড় কোনো প্রতিযোগিতায় জয় পায়নি শ্রীলঙ্কা।

খেলা ছাড়ার পর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আর রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মালিঙ্গা। অর্থাৎ কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে তার। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চাইছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ নিজেদের দেশেই খেলবে শ্রীলঙ্কা। ৮ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচ। ১২ ফেব্রুয়ারি ওমান, ১৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া আর ১৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের বাকি তিন ম্যাচ খেলবে তারা।

 

news