খাগড়াছড়ির রামগড়ে ১ লিটার সয়াবিনের বোতলে ৩০০ গ্রাম  তেল কম থাকায় এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

জানাযায়, এস আমানত নামে একটি কম্পানির মোড়কে  এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলে ৩শ গ্রাম তেল কম পাওয়া যায়। কম্পানির সেলসম্যান (বিক্রয় প্রতিনিধি) মালেক হায়দার সোমবার দুপুরে রামগড় পৌরসভার চৌধুরিপাড়া এলাকায়  দোকানদারদের কাছে  লিটার প্রতি ২১০ টাকা মূল্যে  সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন। বোতলের গায়ে এক লিটার লেখা থাকলেও ওজনে ৩শ গ্রাম তেল কম পাওয়া যায়।  ভোক্তাদের পক্ষ থেকে  বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে  অবহিত করার পর উপজেলা নির্বাহি অফিসার(ইউএনও) খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযানে নামেন। 

ভ্রাম্যমান আদালত চৌধুরি পাড়া এলাকা হতে সয়াবিন তেলসহ ঐ সেলসম্যানকে আটক করেন। আদালত  এস আমানত কম্পানীর এক লিটার তেলের বোতলের ওজন পরিমাপ করে  ৩শ গ্রাম কম পান। এ অবস্থায়  আদালত ওজনে কম দিয়ে  ভোক্তাদের ঠকানোর দায়ে সেলসম্যান মালেক হায়দারকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন,  বোতলের গায়ে এক লিটার লেখা খাকলেও ওজনে ৩শ গ্রাম তেল কম রয়েছে।  এটি ভোক্তা অধিকার আইনের লংঘন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এস আমানত কম্পানির সেলসম্যান মালেক হায়দারবে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

মালেক হায়দার জানান, ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বাজারের জনৈক মনির হোসেন  এস আমানত সয়াবিন তেলের ডিলার।  এ ডিলারের সেলসম্যান হিসেবে তিনি চাকুরি করেন।

news