দুস্থ ও অসহায় কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে সেই চাল আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে দিনাজপুরের বিরামপুর দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের  বিরুদ্ধে। পরে ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমের একটি কক্ষের তালা ভেঙে ভিজিএফ’র ৫৭ বস্তা চাল উদ্ধার করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার। 


শুক্রবার রাত ১২ টায় উপজেলার দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের দুটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে  ৫৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ইউএনও পরিমল কুমার সরকার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,‘ ঈদুল আযহা উপলক্ষে  প্রান্তিক দরিদ্র,অসহায় ও দুস্থ্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার  ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও প্রত্যকে ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। পরে ওই পরিষদের বেশ কিছু অসহায় দুস্থ কার্ডধারী কে চাল না দিয়ে শেষ হয়েছে বলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ  ও পরিষদ ভবন ঘেরাও করে। 

স্থানীয় কার্ডধারী অভিযোগ করেন,সকাল থেকে পরিষদ ভবনে দুস্থদের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেলের দিকে চেয়ারম্যান জানান সরকারের বরাদ্ধকৃত চাল শেষ হয়ে গেছে। পরে বাজার থেকে কয়েক বস্তা চাল ক্রয় করে কয়েক কার্ডধারিদের ৫কেজি করে চাল দিয়ে ফিরিয়ে দেন। কিন্ত সেই সময় দুস্থদের বরাদ্ধের চাল পরিষদের অন্যঘরে আত্মসাতের উদ্দ্যেশে লুকিয়ে রাখে চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সোহেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন,প্রধানমন্ত্রি গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চাল বিতরণ করছেন আর সেই চাল চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করছেন এটা গরিব মানুষের পেটে লাথি দিয়ে সরকারের ইমেজ নষ্ট করা। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই। 

দুস্থ্যের চাল উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও পরিমল কুমার সরকার বলেন,‘ উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে পরিষদ ভবনের একটি বদ্ধ ঘরের তালা ভেঙে ৫৭ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

news