ফেসবুক টিম থেকে বিলিয়ন ডলারের তিস্তা প্রকল্প দৃশ্যমান হচ্ছে, প্রকল্পটি অগ্রাধিকার দিচ্ছে চীন
তিস্তা নদী শাসন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাস্তবায়নে ৯৩৮.২৭ মিলিয়ন ডলার চীনের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। চীন প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে আগ্রহী।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, দুই বছর আগে পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অফ চায়না প্রকল্পটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের পরই কাজ শুরু হবে।
তিস্তা প্রকল্পেড্রেজিংয়ের মাটি ভরাট করে নদীর দুই পাড়ে ১৭০ বর্গকিলোমিটার ভূমি উদ্ধার ছাড়াও নদীর উভয় তীরে ১১৫ কিলোমিটার চার লেন রাস্তা নির্মাণ, নদীর দুই তীরের চারপাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারেজের সঙ্গে সড়কও নির্মাণ করা হবে। শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি বড় জলাধার নির্মাণ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় অন্তত ৮ লাখ মানুষের কর্মস্থান তৈরি হবে।
ভারতের সাথে চতুর্থ বৃহত্তম আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টন চুক্তি এক দশক দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও বাস্তাবায়িত না হওয়ায় দুই বছর আগে বাংলাদেশ চীনের অর্থায়নে এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ক্রেডিট লাইনের অধীনে ২৭টি প্রকল্পের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো। তার মধ্যে তিস্তা প্রকল্পটিও ছিলো।
ভারতের সিকিম থেকে লালমনিরহাট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। ৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটি ফুলছড়িতে যমুনার সাথে মিলিত হওয়ার আগে রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামসহ অনেক জেলায় মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।আমাকে কোন ফোন দেয়া হয়নি