ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণার লক্ষ্যে ডুয়েট-ওয়ালটন চুক্তি

ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবনে যৌথভাবে কাজ করবে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। এ কাজে পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের উদ্দেশ্যে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ডুয়েটের শিক্ষার্থীরা ওয়ালটন কারখানায় গবেষণা ও কাজের সুযোগ পাবেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২) আনুষ্ঠানিকভাবে গাজীপুরের ডুয়েট ক্যাম্পাসে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ডুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক এবং ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডুয়েটের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন—মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রুমা এবং কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হাসান মোস্তফা আফরোজ।

ওয়ালটনের পক্ষে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—চিফ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) অফিসার তাপস কুমার মজুমদার, চিফ কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট অফিসার তাহসিনুল হক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াসির আল ইমরান, হেড অব কম্প্রেসর আরঅ্যান্ডআই মীর মুজাহেদীন ইসলাম, হেড অব রেফ্রিজারেটর আরঅ্যান্ডআই তোফায়েল আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুল মালেক সিকদার, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

ডুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। ব্রেইন ড্রেইন রোধ করা সম্ভব হবে। দেশের সার্বিক শিল্পোন্নয়নে দেশের মেধাকে কাজে লাগানো যাবে। আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তৈরি হবে তরুণ প্রজন্ম।

ডুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক বলেছেন, ‘উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও টেকসই দেশ গঠনে এ ধরনের চুক্তির কোনো বিকল্প নেই। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের মাধ্যমে দেশের মেধাকে বুস্ট-আপ করা সম্ভব। এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়কে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। এ কাজে ওয়ালটন এগিয়ে এসেছে, যা দেশের শিল্প খাতের জন্য সার্বিক বিবেচনায় খুবই ইতিবাচক।’

ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ওয়ালটন। ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবন (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন) হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলীদের জন্য ওয়ালটন একটি গবেষণাক্ষেত্র তৈরি করছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের এই উদ্যোগের ফলে ব্রেইন ড্রেইন বন্ধ হবে। দেশ তার মেধাবী সন্তানদের সেবা পাবে। একই সঙ্গে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে গবেষণা উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে দেশ। এই চুক্তির ফলে মেধা ও প্রাযুক্তিক সক্ষমতা বিনিময়ের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুই পক্ষই পারস্পারিক ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন করতে পারবে।’

উল্লেখ্য, এর আগে গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে দেশের পাঁচটি প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ডিপার্টমেন্ট অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রপুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।

রাইজিংবিডি.কম
 

news