বিহার নির্বাচনের উত্তাপে নতুন বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভোটাধিকার যাত্রা’র সময়। আর এতেই রীতিমতো রণক্ষেত্রের আবহ তৈরি হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আজকাল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিহারে ইন্ডিয়া জোটের এক বৈঠকে কংগ্রেসের পতাকা হাতে থাকা এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে অশালীন মন্তব্য করতে শোনা যায়। মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে মন্তব্য ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেন, দ্বারভাঙায় কংগ্রেস ও আরজেডির ‘ভোটাধিকার যাত্রা’ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং তার মাকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এরই মধ্যে দ্বারভাঙা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় সিমরি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির দাবি, পুরো ঘটনার জন্য কংগ্রেসকেই ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ঘটনাটিকে ‘গণতন্ত্রের কলঙ্ক’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার প্রয়াত মাতাজিকে নিয়ে যে ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে, তা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি মা ও ছেলের প্রতি অপমান। কংগ্রেসের রাজনীতি এখন সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।”

অমিত শাহ আরও কটাক্ষ করে লিখেছেন, “গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকা থেকে আজ পর্যন্ত গান্ধী পরিবার মোদিজির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে কোনো কসরত বাকি রাখেনি। কিন্তু এবার তারা শালীনতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে। ১৪০ কোটি ভারতবাসী এই অপমান কখনো ক্ষমা করবে না।”

বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও তার মাকে নিয়ে মন্তব্য অশ্লীলতার সীমা ছাড়িয়েছে। রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেই হবে।”

এদিকে কংগ্রেসের ভেতরে-বাইরে এ ঘটনাকে ঘিরে চলছে তীব্র আলোচনা। নির্বাচনের আগে বিহারের রাজনৈতিক আবহে এই বিতর্ক নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

news