পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর নির্লজ্জ লঙ্ঘন হিসেবে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন করেছে এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেছে।
মন্ত্রী দার জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান সব উপায়ে তাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করবে। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আগ্রাসনের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, ভারত পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়েছে, যাকে তারা "অপারেশন সিন্দুর" নামে অভিহিত করেছে। তবে পাকিস্তান এই হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের উপর কাপুরুষোচিত আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং ইতোমধ্যে দুটি ভারতীয় জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা এই আগ্রাসনের জবাব দেবে যথাসময়ে এবং যথাস্থানে। এই বুলেটিনে আমরা পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরবো। বুলেটিনের সময়কাল ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান দুটি ভারতীয় জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। ভারত কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাঘ এবং মুজাফফরাবাদে হামলা চালিয়েছে, যা পাকিস্তানের মতে বেসামরিক এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। এই হামলায় তিনজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দেবে।
ইসলামাবাদে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্টে একটি মসজিদ, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদে বেসামরিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় একটি শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনী দুটি ভারতীয় জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে এবং জানিয়েছে, তারা এই আগ্রাসনের জবাব দেবে। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে হামলার স্থান পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যাতে ভারতের মিথ্যা দাবি প্রকাশ্যে আসে।
এই হামলার পটভূমি হিসেবে ভারত পাহালগামে গত ২২ এপ্রিলের একটি সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করেছে, যেখানে ২৬ জন নিহত হয়। পাকিস্তান এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে এই হামলা চালিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত নারী ও শিশুদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং মসজিদ ধ্বংস করেছে, যা তাদের হিন্দুত্ববাদী মানসিকতার প্রতিফলন।
পাকিস্তানের জনগণ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মুজাফফরাবাদে হামলার পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেসামরিক এলাকায় ক্ষতি হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ভারতের এই আগ্রাসনের জবাব দেবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের এই পদক্ষেপকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘের কাছে এই হামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো সংকটপূর্ণ। পাকিস্তান জনগণ ও সরকার এই হামলাকে অন্যায় আগ্রাসন হিসেবে দেখছে।


