ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সতর্ক ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে উভয় দেশকে সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।"
ঢাকার এই অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কৌশলগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অন্যদিকে পাকিস্তানের সাথেও ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে সরকার কোনো পক্ষকে সরাসরি সমর্থন না দিয়ে জোটনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করছে।
জনমত বিভক্ত:
সমাজের একাংশ পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানালেও অন্যদের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাবও লক্ষণীয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উভয় দেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই বিভক্তিকে প্রভাবিত করছে।
সীমান্ত উত্তেজনা:
সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনিয়মিত অনুপ্রবেশ ও ঠেলা-ঠেলির ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দাবি জানিয়েছে।
আঞ্চলিক শান্তির প্রচেষ্টা:
বাংলাদেশ জাতিসংঘ, বিমসটেক ও ওআইসির মতো ফোরামে সংলাপকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ইউনূস প্রশাসনের লক্ষ্য যেকোনো সংঘাত এড়িয়ে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।


